ঢাকা ০৬:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রামের উন্নয়ন নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী: তথ্যমন্ত্রী

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
  • আপডেট : ০১:৫৬:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / 207
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘চট্টগ্রামকে ঘিরে যেভাবে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হচ্ছে সেটি স্পষ্ট। সম্প্রতি মেট্রোরেল প্রকল্প ঘোষণা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের উন্নয়ন নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন।’

মঙ্গলবার বেলা ১২টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে চট্টগ্রাম নগরের পরিবহন মাস্টার প্ল্যানসহ মেট্রোরেলের সমীক্ষার জন্য প্রিলিমিনারি সার্ভে কাজ সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি আরও বলেন, ‘আমি কৃতজ্ঞতা জানাই বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি। কারণ তিনি চট্টগ্রামে মেট্রোরেল স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছেন। সেটি বাস্তবায়ন করার জন্য যোগাযোগ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছেন। ২০০৯ সালের সরকার গঠন করার পর প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন চট্টগ্রামের উন্নয়ন নিজের কাঁধে তুলে নেয়ার।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরে বে টার্মিনাল হতে যাচ্ছে। মাতারবাড়ীতে গভীর সমুদ্রবন্দর হচ্ছে। আমরা অনেক কিছু দেখতে পাই না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনেককিছুই দেখতে পান।’

তিনি বলেন, ‘ব্রিটিশ আমল থেকে কলকাতার পর চট্টগ্রামই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শহর। সারা দেশে ১০০টি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার কাজ চলছে। দেশ শিল্প উন্নত দেশে পরিণত হচ্ছে। শিল্প খাতে বাংলাদেশ অনেকদূর এগিয়ে গেছে।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু টানেল থেকে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় মেট্রোরেল যেতে পারে। যেহেতু সেখানে শাটল চলাচল করে। এ ছাড়াও নদীর ওপারে কীভাবে মেট্রোরেল নিয়ে যাওয়া যায় এসব বিষয় মাথায় রেখে পরিকল্পনা করা উচিত।’

তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমি আপনাদের মানুষ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে এরকম একটি উদ্যোগ নিয়েছেন কেউ আগে ভাবতে পারেনি। চট্টগ্রামের মানুষও আগে ভাবেনি। পূর্বের মেয়র ফিজিবিলিটি টেস্ট করেছিলেন আগে একবার অবশ্য। আমি আশা করবো দ্রুততার সাথে কাজ শুরু হবে। কোরিয়ান সরকার এ কাজে এগিয়ে এসেছে তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। তারা নিজেরাই ফিজিবিলিটি পরীক্ষা করার উদ্যোগ নিয়েছে আগে। তারা ৫ মিলিয়ন ডলার ফিজিবিলিটির জন্য খরচ করবে। এজন্য দক্ষিণ কোরিয়ান সরকার ও কোয়িকাকে আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ’

সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিন। এসময় মেট্রোরেল নিয়ে মতামত প্রকাশ করেন চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম, চেম্বারের সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, সিডিএ চেয়ারম্যান, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুল মালেক, যুগ্ম সচিব মাহবুবুর রহমান, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন,চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়াল অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শিরীণ আখতার, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক রফিকুল আলম, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

চট্টগ্রামের উন্নয়ন নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী: তথ্যমন্ত্রী

আপডেট : ০১:৫৬:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘চট্টগ্রামকে ঘিরে যেভাবে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হচ্ছে সেটি স্পষ্ট। সম্প্রতি মেট্রোরেল প্রকল্প ঘোষণা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের উন্নয়ন নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন।’

মঙ্গলবার বেলা ১২টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে চট্টগ্রাম নগরের পরিবহন মাস্টার প্ল্যানসহ মেট্রোরেলের সমীক্ষার জন্য প্রিলিমিনারি সার্ভে কাজ সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি আরও বলেন, ‘আমি কৃতজ্ঞতা জানাই বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি। কারণ তিনি চট্টগ্রামে মেট্রোরেল স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছেন। সেটি বাস্তবায়ন করার জন্য যোগাযোগ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছেন। ২০০৯ সালের সরকার গঠন করার পর প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন চট্টগ্রামের উন্নয়ন নিজের কাঁধে তুলে নেয়ার।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরে বে টার্মিনাল হতে যাচ্ছে। মাতারবাড়ীতে গভীর সমুদ্রবন্দর হচ্ছে। আমরা অনেক কিছু দেখতে পাই না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনেককিছুই দেখতে পান।’

তিনি বলেন, ‘ব্রিটিশ আমল থেকে কলকাতার পর চট্টগ্রামই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শহর। সারা দেশে ১০০টি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার কাজ চলছে। দেশ শিল্প উন্নত দেশে পরিণত হচ্ছে। শিল্প খাতে বাংলাদেশ অনেকদূর এগিয়ে গেছে।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু টানেল থেকে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় মেট্রোরেল যেতে পারে। যেহেতু সেখানে শাটল চলাচল করে। এ ছাড়াও নদীর ওপারে কীভাবে মেট্রোরেল নিয়ে যাওয়া যায় এসব বিষয় মাথায় রেখে পরিকল্পনা করা উচিত।’

তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমি আপনাদের মানুষ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে এরকম একটি উদ্যোগ নিয়েছেন কেউ আগে ভাবতে পারেনি। চট্টগ্রামের মানুষও আগে ভাবেনি। পূর্বের মেয়র ফিজিবিলিটি টেস্ট করেছিলেন আগে একবার অবশ্য। আমি আশা করবো দ্রুততার সাথে কাজ শুরু হবে। কোরিয়ান সরকার এ কাজে এগিয়ে এসেছে তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। তারা নিজেরাই ফিজিবিলিটি পরীক্ষা করার উদ্যোগ নিয়েছে আগে। তারা ৫ মিলিয়ন ডলার ফিজিবিলিটির জন্য খরচ করবে। এজন্য দক্ষিণ কোরিয়ান সরকার ও কোয়িকাকে আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ’

সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিন। এসময় মেট্রোরেল নিয়ে মতামত প্রকাশ করেন চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম, চেম্বারের সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, সিডিএ চেয়ারম্যান, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুল মালেক, যুগ্ম সচিব মাহবুবুর রহমান, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন,চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়াল অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শিরীণ আখতার, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক রফিকুল আলম, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর প্রমুখ।