ঢাকা ১১:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তামিমা ফিরে এলে কন্টিনিউ করব

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০২:১১:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / 95
আলোচিত ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও বিমানবালা তামিমার বিয়ে বৈধ উপায়ে হয়নি। তামিমা ও ব্যবসায়ী রাকিব হাসানের বিবাহবিচ্ছেদ সংক্রান্ত নথি জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। ফলে তামিমা এখনও রাকিব হাসানের স্ত্রী। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের তদন্ত প্রতিবেদনে (পিবিআই) এসব বিষয় উঠে এসেছে। এরপরই রাকিব হাসান জানালেন, তামিমা তাম্মী ফিরতে চাইলে তাকে গ্রহণ করতে আপত্তি নেই তার।

বৃহস্পতিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে (সিএমএম) তাদের বিয়ে নিয়ে এই প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এরপরই ক্রিকেটার নাসির হোসেন, তার স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মি এবং তাম্মির মা সুমি আক্তারের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন আদালত।

আদালত প্রাঙ্গণে এক প্রতিক্রিয়ায় রাকিব হাসান বলেন, ‘এখনো তো তাম্মি আইনত আমার ওয়াইফ। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কটা দুই জনের। তারও সিদ্ধান্ত আছে। অবশ্যই সে যদি কন্টিনিউ করতে চায় আমি করব।’

পিবিআইকে ধন্যবাদ জানিয়ে রাকিব আরও বলেন, পিবিআই’র সুষ্ঠু তদন্তে বেরিয়েছে এসেছে প্রকৃত ঘটনা। নাসির ও আমার স্ত্রী তামিমা অবৈধভাবে বিয়ে করেছে।

এ ছাড়াও ক্রিকেটার নাসির হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।

পিবিআই সূত্রে জানা যায়, সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্তে ক্রিকেটার নাসির হোসেন, সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের বিমানবালা তামিমা সুলতানা তাম্মী এবং তামিমার মা সুমি আক্তারকে দোষী উল্লেখ করে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।

তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, তামিমা রাকিবকে তালাক দেননি। লিগ্যালভাবে রাকিব তালাকের কোন নোটিশও পাননি। তামিমা উল্টো জালিয়াতির মাধ্যমে তালাকের নোটিশ তৈরি করে তা বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। যথাযথ প্রক্রিয়ায় তালাক না দেওয়ার ফলে তামিমা এখনও রাকিবের স্ত্রী।

পিবিআই-এর একটি সূত্র বাংলাদেশ জার্নালকে জানায়, দেশে ধর্মীয় বিধিবিধান ও আইন অনুযায়ী এক স্বামীকে তালাক না দিয়ে অন্য কাউকে বিয়ে করা অবৈধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এমন পরিস্থিতিতে ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তামিমা তাম্মীর বিয়ে অবৈধ।

চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারিতে ভালোবাসা দিবসে বিয়ে করেন ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তামিমা তাম্মী। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি হলুদ সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়। ২০ ফেব্রুয়ারি তাদের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।

এমন পরিস্থিতিতে অভিযোগ উঠে স্বামী রাকিবকে তালাক না দিয়েই ক্রিকেটার নাসিরের সঙ্গে বিয়ে পিড়িতে বসেছেন তামিমা। যেটিকে কেন্দ্র করে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে মামলা দায়ের করেন ব্যবসায়ী রাকিব হাসান।

পরে মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও রাকিবের বিয়ে হয়। তাদের আট বছরের একটি কন্যাসন্তানও রয়েছে। চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও ক্রিকেটার নাসির হোসেনের বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা রাকিবের নজরে আসে। পরে গণমাধ্যমে তিনি ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারেন।

অভিযোগে আরও বলা হয়, রাকিবের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক থাকা অবস্থায় তামিমা নাসিরকে বিয়ে করেছেন, যা ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী সম্পূর্ণ অবৈধ। নাসির তামিমাকে প্রলুব্ধ করে নিজের কাছে নিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

তামিমা ফিরে এলে কন্টিনিউ করব

আপডেট : ০২:১১:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১
আলোচিত ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও বিমানবালা তামিমার বিয়ে বৈধ উপায়ে হয়নি। তামিমা ও ব্যবসায়ী রাকিব হাসানের বিবাহবিচ্ছেদ সংক্রান্ত নথি জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। ফলে তামিমা এখনও রাকিব হাসানের স্ত্রী। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের তদন্ত প্রতিবেদনে (পিবিআই) এসব বিষয় উঠে এসেছে। এরপরই রাকিব হাসান জানালেন, তামিমা তাম্মী ফিরতে চাইলে তাকে গ্রহণ করতে আপত্তি নেই তার।

বৃহস্পতিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে (সিএমএম) তাদের বিয়ে নিয়ে এই প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এরপরই ক্রিকেটার নাসির হোসেন, তার স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মি এবং তাম্মির মা সুমি আক্তারের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন আদালত।

আদালত প্রাঙ্গণে এক প্রতিক্রিয়ায় রাকিব হাসান বলেন, ‘এখনো তো তাম্মি আইনত আমার ওয়াইফ। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কটা দুই জনের। তারও সিদ্ধান্ত আছে। অবশ্যই সে যদি কন্টিনিউ করতে চায় আমি করব।’

পিবিআইকে ধন্যবাদ জানিয়ে রাকিব আরও বলেন, পিবিআই’র সুষ্ঠু তদন্তে বেরিয়েছে এসেছে প্রকৃত ঘটনা। নাসির ও আমার স্ত্রী তামিমা অবৈধভাবে বিয়ে করেছে।

এ ছাড়াও ক্রিকেটার নাসির হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।

পিবিআই সূত্রে জানা যায়, সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্তে ক্রিকেটার নাসির হোসেন, সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের বিমানবালা তামিমা সুলতানা তাম্মী এবং তামিমার মা সুমি আক্তারকে দোষী উল্লেখ করে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।

তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, তামিমা রাকিবকে তালাক দেননি। লিগ্যালভাবে রাকিব তালাকের কোন নোটিশও পাননি। তামিমা উল্টো জালিয়াতির মাধ্যমে তালাকের নোটিশ তৈরি করে তা বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। যথাযথ প্রক্রিয়ায় তালাক না দেওয়ার ফলে তামিমা এখনও রাকিবের স্ত্রী।

পিবিআই-এর একটি সূত্র বাংলাদেশ জার্নালকে জানায়, দেশে ধর্মীয় বিধিবিধান ও আইন অনুযায়ী এক স্বামীকে তালাক না দিয়ে অন্য কাউকে বিয়ে করা অবৈধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এমন পরিস্থিতিতে ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তামিমা তাম্মীর বিয়ে অবৈধ।

চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারিতে ভালোবাসা দিবসে বিয়ে করেন ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তামিমা তাম্মী। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি হলুদ সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়। ২০ ফেব্রুয়ারি তাদের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।

এমন পরিস্থিতিতে অভিযোগ উঠে স্বামী রাকিবকে তালাক না দিয়েই ক্রিকেটার নাসিরের সঙ্গে বিয়ে পিড়িতে বসেছেন তামিমা। যেটিকে কেন্দ্র করে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে মামলা দায়ের করেন ব্যবসায়ী রাকিব হাসান।

পরে মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও রাকিবের বিয়ে হয়। তাদের আট বছরের একটি কন্যাসন্তানও রয়েছে। চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও ক্রিকেটার নাসির হোসেনের বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা রাকিবের নজরে আসে। পরে গণমাধ্যমে তিনি ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারেন।

অভিযোগে আরও বলা হয়, রাকিবের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক থাকা অবস্থায় তামিমা নাসিরকে বিয়ে করেছেন, যা ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী সম্পূর্ণ অবৈধ। নাসির তামিমাকে প্রলুব্ধ করে নিজের কাছে নিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ করা হয়।