ঢাকা ০৩:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতকে ১৪৫ রানের টার্গেট দিলো বাংলাদেশ

ক্রীড়া ডেস্ক
  • আপডেট : ০৪:৫৯:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২২
  • / 113
দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে ভারতকে ১৪৫ রানের টার্গেট দিয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ভরসা হয়ে লড়ে যাওয়া লিটন দাসের বিদায়ের পরই সব শেষ হয়ে গিয়েছিল। অপেক্ষা ছিল লিডটা কত বড় হয় সেটি দেখার। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে তৃতীয় দিনের শেষ সেশনে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৩১ রানে থামে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস।

লিটনের পাশাপাশি পেসার তাসকিনের অনবদ্য ইনিংসে লিড দাঁড়ায় ১৪৪ রানে। চট্টগ্রাম টেস্টের পর মিরপুর টেস্টেও ভারতকে জিততে হলে করতে হবে ১৪৫ রান। হাতে এখনও সময় আছে দুই দিনেরও বেশি।

প্রথম ইনিংসে মুমিনুল হকের ৮৪ রানের ওপর ভর করে বাংলাদেশ থামে ২২৭ রানে। এর আগে রিশাভ পান্ত আর শ্রেয়াস আইয়ারের ১৬৫ রানের এক জুটিতে ভর করে ভারত প্রথম ইনিংসে থামে ৩১৪ রানে। পান্ত ৯৩ আর আইয়ার করেন ৮৭ রান।

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশী ব্যাটারদের ব্যর্থতার পর দ্বিতীয় ইনিংসেও সেই চিরচেনা দৃশ্য। আর তাতে লিডটা বড় হয়নি। একপ্রান্তে লিটন আর তাকে তাসকিন যোগ্য সঙ্গ না দিলে বাংলাদেশের ইনিংস কতদূর যেত তা নিয়েই সন্দেহ থেকে যায়।

বাংলাদেশের হাল ধরে রেখেছিলেন লিটন দাস। তবে ৬৭ তম ওভারে সিরাজের প্রথম বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন লিটন। তার সংগ্রহ ৯৮ বলে ৭৩ রান। লিটন দাস আউট হওয়ার পরের ওভারের প্রথম বলেই ৫ বলে ৪ রান করে তাইজুল ইসলামও আউট হলেন। অশ্বিনের বলে এলবিডব্লিউ হন তাইজুল। ২২০ রানে নবম উইকেট হারাল বাংলাদেশ। এরপর শুভমন গিল এবং অক্ষর প্যাটেলের যৌথ প্রচেষ্টার রানআউট হলেন খালিল আহমেদ। ৯ বলে ৪ করে আউট হন তিনি। খালিদ আউট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিতীয় থামে ২৩১ রানে।

ঢাকা টেস্টে প্রথম ইনিংসেই ৮৭ রানে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিনের শেষ বিকেলে দৃঢ়তা দেখিয়েছিলেন দুই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত আর জাকির হাসান। ৬ ওভারে বিনা উইকেটে ৭ রান তুলে দিন শেষ করেছিল বাংলাদেশ।

তবে তৃতীয় দিনের শুরুতেই বড় বিপদে পড়ে টাইগাররা। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে এলবিডব্লিউ হয়েছেন শান্ত (৫)। এরপর মোহাম্মদ সিরাজের দারুণ এক ডেলিভারি মুমিনুলের ব্যাট ছুঁয়ে চলে গেছে উইকেটরক্ষক রিশাভ পান্তের হাতে। মুমিনুলও করেন ৫।

সাকিব আল হাসান আরও একবার সেট হয়ে আউট হয়েছেন। ৩৬ বলে ১৩ করে উনাদকাটের বলে এক্সট্রা কভারে সহজ ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনি। মুশফিকুর রহিমও দলের হাল ধরতে পারেননি। ৯ রান করে এলবিডব্লিউ হয়েছেন অক্ষর প্যাটেলের স্পিনে। ৪ উইকেটে ৭১ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের লাঞ্চ বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।

দারুণ খেলছিলেন জাকির হাসান। টানা দ্বিতীয় টেস্টে পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংসও বেরিয়ে আসে তার ব্যাট থেকে। তবে ফিফটি পূরণ করার পরই খেলে বসলেন অপরিণামদর্শী এক শট। উমেশ যাদবের যে ডেলিভারিটি চাইলেই ছেড়ে দিতে পারতেন জাকির, সেটি বাতাসে ভাসিয়ে খেলে দিলেন বাউন্ডারির দিকে। ডিপ থার্ডম্যানে সহজ ক্যাচ নিলেন সিরাজ। ১৩৫ বলে জাকিরের ৫১ রানের ধৈর্যশীল ইনিংসে ছিল ৫টি বাউন্ডারির মার।

জাকির ফেরার পর দ্রুত আরেকটি উইকেট হারাতে পারতো বাংলাদেশ। ২০ রানে কপালগুণে বেঁচে গেছেন লিটন দাস। অক্ষর প্যাটেলের বলে স্লিপে ক্যাচ ফেলে দেন বিরাট কোহলি। তবে বাঁচতে পারেননি মেহেদি হাসান মিরাজ (০)। অক্ষর প্যাটেলকে সুইপ খেলতে গিয়ে বলের লাইন মিস করেন, এলবিডব্লিউয়ের আবেদনে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার।

মিরাজের পর ব্যাটিংয়ে এসে নুরুল হাসান সোহান যেন আর কিছুর ধার ধারলেন না। উইকেটে এসেই মারতে শুরু করলেন। টি-টোয়েন্টি স্টাইলে খেলে অবশ্য খুব বেশিদূর এগোতে পারেনি টাইগার উইকেটরক্ষক। ২৯ বলে ২ চার আর ১ ছক্কায় ৩১ রান করে অক্ষর প্যাটেলের ঘূর্ণিতে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েন তিনি।

লিটন দাসের সঙ্গে স্বীকৃত ব্যাটার বলতে ছিলেন কেবল সোহানই। তিনি আউট হওয়ার পর লোয়ার অর্ডার বেরিয়ে পড়েছে। তবে তাসকিনকে সঙ্গে নিয়ে লড়েছেন লিটন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ভারতকে ১৪৫ রানের টার্গেট দিলো বাংলাদেশ

আপডেট : ০৪:৫৯:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২২
দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে ভারতকে ১৪৫ রানের টার্গেট দিয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ভরসা হয়ে লড়ে যাওয়া লিটন দাসের বিদায়ের পরই সব শেষ হয়ে গিয়েছিল। অপেক্ষা ছিল লিডটা কত বড় হয় সেটি দেখার। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে তৃতীয় দিনের শেষ সেশনে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৩১ রানে থামে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস।

লিটনের পাশাপাশি পেসার তাসকিনের অনবদ্য ইনিংসে লিড দাঁড়ায় ১৪৪ রানে। চট্টগ্রাম টেস্টের পর মিরপুর টেস্টেও ভারতকে জিততে হলে করতে হবে ১৪৫ রান। হাতে এখনও সময় আছে দুই দিনেরও বেশি।

প্রথম ইনিংসে মুমিনুল হকের ৮৪ রানের ওপর ভর করে বাংলাদেশ থামে ২২৭ রানে। এর আগে রিশাভ পান্ত আর শ্রেয়াস আইয়ারের ১৬৫ রানের এক জুটিতে ভর করে ভারত প্রথম ইনিংসে থামে ৩১৪ রানে। পান্ত ৯৩ আর আইয়ার করেন ৮৭ রান।

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশী ব্যাটারদের ব্যর্থতার পর দ্বিতীয় ইনিংসেও সেই চিরচেনা দৃশ্য। আর তাতে লিডটা বড় হয়নি। একপ্রান্তে লিটন আর তাকে তাসকিন যোগ্য সঙ্গ না দিলে বাংলাদেশের ইনিংস কতদূর যেত তা নিয়েই সন্দেহ থেকে যায়।

বাংলাদেশের হাল ধরে রেখেছিলেন লিটন দাস। তবে ৬৭ তম ওভারে সিরাজের প্রথম বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন লিটন। তার সংগ্রহ ৯৮ বলে ৭৩ রান। লিটন দাস আউট হওয়ার পরের ওভারের প্রথম বলেই ৫ বলে ৪ রান করে তাইজুল ইসলামও আউট হলেন। অশ্বিনের বলে এলবিডব্লিউ হন তাইজুল। ২২০ রানে নবম উইকেট হারাল বাংলাদেশ। এরপর শুভমন গিল এবং অক্ষর প্যাটেলের যৌথ প্রচেষ্টার রানআউট হলেন খালিল আহমেদ। ৯ বলে ৪ করে আউট হন তিনি। খালিদ আউট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিতীয় থামে ২৩১ রানে।

ঢাকা টেস্টে প্রথম ইনিংসেই ৮৭ রানে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিনের শেষ বিকেলে দৃঢ়তা দেখিয়েছিলেন দুই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত আর জাকির হাসান। ৬ ওভারে বিনা উইকেটে ৭ রান তুলে দিন শেষ করেছিল বাংলাদেশ।

তবে তৃতীয় দিনের শুরুতেই বড় বিপদে পড়ে টাইগাররা। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে এলবিডব্লিউ হয়েছেন শান্ত (৫)। এরপর মোহাম্মদ সিরাজের দারুণ এক ডেলিভারি মুমিনুলের ব্যাট ছুঁয়ে চলে গেছে উইকেটরক্ষক রিশাভ পান্তের হাতে। মুমিনুলও করেন ৫।

সাকিব আল হাসান আরও একবার সেট হয়ে আউট হয়েছেন। ৩৬ বলে ১৩ করে উনাদকাটের বলে এক্সট্রা কভারে সহজ ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনি। মুশফিকুর রহিমও দলের হাল ধরতে পারেননি। ৯ রান করে এলবিডব্লিউ হয়েছেন অক্ষর প্যাটেলের স্পিনে। ৪ উইকেটে ৭১ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের লাঞ্চ বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।

দারুণ খেলছিলেন জাকির হাসান। টানা দ্বিতীয় টেস্টে পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংসও বেরিয়ে আসে তার ব্যাট থেকে। তবে ফিফটি পূরণ করার পরই খেলে বসলেন অপরিণামদর্শী এক শট। উমেশ যাদবের যে ডেলিভারিটি চাইলেই ছেড়ে দিতে পারতেন জাকির, সেটি বাতাসে ভাসিয়ে খেলে দিলেন বাউন্ডারির দিকে। ডিপ থার্ডম্যানে সহজ ক্যাচ নিলেন সিরাজ। ১৩৫ বলে জাকিরের ৫১ রানের ধৈর্যশীল ইনিংসে ছিল ৫টি বাউন্ডারির মার।

জাকির ফেরার পর দ্রুত আরেকটি উইকেট হারাতে পারতো বাংলাদেশ। ২০ রানে কপালগুণে বেঁচে গেছেন লিটন দাস। অক্ষর প্যাটেলের বলে স্লিপে ক্যাচ ফেলে দেন বিরাট কোহলি। তবে বাঁচতে পারেননি মেহেদি হাসান মিরাজ (০)। অক্ষর প্যাটেলকে সুইপ খেলতে গিয়ে বলের লাইন মিস করেন, এলবিডব্লিউয়ের আবেদনে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার।

মিরাজের পর ব্যাটিংয়ে এসে নুরুল হাসান সোহান যেন আর কিছুর ধার ধারলেন না। উইকেটে এসেই মারতে শুরু করলেন। টি-টোয়েন্টি স্টাইলে খেলে অবশ্য খুব বেশিদূর এগোতে পারেনি টাইগার উইকেটরক্ষক। ২৯ বলে ২ চার আর ১ ছক্কায় ৩১ রান করে অক্ষর প্যাটেলের ঘূর্ণিতে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েন তিনি।

লিটন দাসের সঙ্গে স্বীকৃত ব্যাটার বলতে ছিলেন কেবল সোহানই। তিনি আউট হওয়ার পর লোয়ার অর্ডার বেরিয়ে পড়েছে। তবে তাসকিনকে সঙ্গে নিয়ে লড়েছেন লিটন।