ঢাকা ০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউনিয়নের সামনেই জলাবদ্ধতা!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০১:১১:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ অক্টোবর ২০২১
  • / 88

কুতুবপুর ইউনিয়ন

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা কুতুবপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন উন্নয়ন করে ৩ বারের সফল ও যোগ্য চেয়ারম্যান হিসেবে মনিরুল আলম সেন্টু প্রমাণিত হলেও কুতুবপুরবাসীকে দিতে পারেনি জলাবদ্ধতা ও ভাঙ্গা রাস্তাঘাট, মাদক ও কিশোর গ্যাং থেকে মুক্তি। এমনকি নিজের ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়কেও করতে পারেনি জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত।
পাগলায় অবস্থিত কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় সহ কুতুবপুরের বিভিন্ন এলাকা সরেজমিনে গিয়ে গত সোমবার পরিদর্শন করলে এলাকাবাসীর ভোগান্তির দেখা যায় এ চিত্র। ঢাকা-মুন্সিগঞ্জ লিংকরোড থেকে নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা লিংকরোডের সংযোগ পাগলার সড়কটি আরসিসি ঢালাই করে তৈরী করা হয়। আরসিসি ঢালাইয়ের উপর একাধিকবার সিসি ঢালাইও করা হয়েছে বিভিন্ন প্রকল্পের বিভিন্ন মেয়াদে।

তবুও এই প্রধান সড়কের একাধিক জায়গায় রড বের হয়ে আছে দেখা যায়। এর ফলে রডের সাথে বাড়ি খেয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দূর্ঘটনা অহরহ ঘটছে এই রাস্তাটিতে। অন্যদিকে বেশ কয়েক জায়গায় আরসিসি ঢালাই রাস্তা কেটে মাঝ দিয়ে ড্রেজারের পাইপ নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর ফলেও ঘটছে দূর্ঘটনা। এ নিয়ে অনেকটা বিরক্ত এলাকাবাসীরা।

বিভিন্ন সময় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের জলাবদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের সাংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান। তার আসনে একটি উন্নত ইউনিয়ন হিসেবে পরিচয় পেয়েছে কুতুবপুর ইউনিয়ন।

বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ হলেও এই ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড থেকে ধরে ৯নং ওয়ার্ড পর্যন্ত কেউই জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত নয়। তার একটি উদাহরণ কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়। মনিরুল আলম সেন্টু এত উন্নয়ন করেও নিজের কার্যালয় ও কার্যালয়ের সামনের জলাবদ্ধতা করতে পারেনি নিরসন।

বর্ষা মৌসুম ছাড়াই ইউনিয়ন পরিষদের সামনে সহ পাগলা থেকে আসা জালকুড়ি পর্যন্ত ও ফতুল্লা রেলষ্টেশন থেকে আসা তক্কার মাঠ হয়ে ফতুল্লা ষ্টেডিয়ামের আসা রাস্তাটির প্রায় বিভিন্ন জায়গায় ড্রেনের ময়লা পানি উঠে জমে থাকার চিত্র দেখা যায়।

এছাড়া কুতুবপুর ইউনিয়নের সবচেয়ে বেশি জলাবদ্ধতায় আক্রান্ত হয়ে নিস্তেজ হয়ে পড়ে আছে আন্তর্জাতিক ষ্টেডিয়াম ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী ষ্টেডিয়াম।

এত বছরেও সাংসদ সদস্য ও উক্ত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পারেনি ষ্টেডিয়ামকে পানি থেকে মুক্ত করতে। বর্ষা মৌসুম ছাড়াই এই ষ্টেডিয়ামটি পুকুরে পরিণত হয়ে উঠেছে। যেখানে এক সময় আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট খেলা অনুষ্ঠিত হতো।

সবচেয়ে বেশি জলাবদ্ধতায় ভোগান্তি শিকার হচ্ছে কুতুবপুর ৮নং ওয়ার্ডের তক্কারমাঠ, শিয়াচর, পিলকুনি, নন্দলাপুর, পাগলা নয়ামাটি, ৯নং ওয়ার্ডের লামাপাড়া, রামারবাগ, লালখা, পূর্ব শিয়াচর, কুতুবপুর নয়ামাটি, ৭নং ওয়ার্ডের আলীগঞ্জ সহ ৫, ৬ ওয়ার্ডের বেশ কিছু বেশ কিছু এলাকা। অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলার মধ্যে সবচেয়ে দূর্গন্ধ ইউনিয়ন হিসেবেও খেতাব পেয়েছে কুতুবপুর ইউনিয়ন।

সিটি কর্পোরেশন সহ জেলার বিভিন্ন স্থানের ময়লা রাখার জায়গা উঠে উঠছে কুতুবপুর ইউনিয়ন। ফতুল্লা ষ্টেডিয়াম সংলগ্ন, জালকুড়ি, ভূইঘর সহ বেশ কিছু এলাকায়ই ফালানো হচ্ছে এই বিভিন্ন ময়লা ও আবর্জনা।

নারায়ণগঞ্জ জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন ও লোক সংখ্যায়ও বেশি কুতুবপুর হলেও জলাবদ্ধতা,রাস্তাঘাট ভঙ্গুর,ড্রেনেজের অনিষ্কাসন ব্যবস্থা,অপর্যাপ্ত পরিমান সরকারি সহায়তা থেকে বরাবর বঞ্চিত এই ইউনিয়নটি। নারায়ণগঞ্জ জেলার একটি অন্যতম মাদক ও কিশোর গ্যাংয়ের স্পট হয়ে উঠেছে কুতুবপুর ইউনিয়ন।

কুতুবপুরের নয়ামাটি, শাহী মহল্লা, নন্দলাপুর, পিলকুনি, আলীগঞ্জ, তক্কারমাঠ, লামাপাড়া শিয়াচর, ভূইঘর হয়ে উঠেছে মাদকের অন্যতম আখড়া সাথে কিশোরগ্যাংয়ের আশ্রয়স্থল। তিনবারের সফল চেয়ারম্যান হয়েও নিজের ইউনিয়ন পরিষদের সামনে জলাবদ্ধতা থেকে কেনো মুক্ত করতে পারেনি এ বিষয় জানার জন্য তার কার্যালয়ে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি।

মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ইউনিয়নের সামনেই জলাবদ্ধতা!

আপডেট : ০১:১১:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ অক্টোবর ২০২১

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা কুতুবপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন উন্নয়ন করে ৩ বারের সফল ও যোগ্য চেয়ারম্যান হিসেবে মনিরুল আলম সেন্টু প্রমাণিত হলেও কুতুবপুরবাসীকে দিতে পারেনি জলাবদ্ধতা ও ভাঙ্গা রাস্তাঘাট, মাদক ও কিশোর গ্যাং থেকে মুক্তি। এমনকি নিজের ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়কেও করতে পারেনি জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত।
পাগলায় অবস্থিত কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় সহ কুতুবপুরের বিভিন্ন এলাকা সরেজমিনে গিয়ে গত সোমবার পরিদর্শন করলে এলাকাবাসীর ভোগান্তির দেখা যায় এ চিত্র। ঢাকা-মুন্সিগঞ্জ লিংকরোড থেকে নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা লিংকরোডের সংযোগ পাগলার সড়কটি আরসিসি ঢালাই করে তৈরী করা হয়। আরসিসি ঢালাইয়ের উপর একাধিকবার সিসি ঢালাইও করা হয়েছে বিভিন্ন প্রকল্পের বিভিন্ন মেয়াদে।

তবুও এই প্রধান সড়কের একাধিক জায়গায় রড বের হয়ে আছে দেখা যায়। এর ফলে রডের সাথে বাড়ি খেয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দূর্ঘটনা অহরহ ঘটছে এই রাস্তাটিতে। অন্যদিকে বেশ কয়েক জায়গায় আরসিসি ঢালাই রাস্তা কেটে মাঝ দিয়ে ড্রেজারের পাইপ নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর ফলেও ঘটছে দূর্ঘটনা। এ নিয়ে অনেকটা বিরক্ত এলাকাবাসীরা।

বিভিন্ন সময় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের জলাবদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের সাংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান। তার আসনে একটি উন্নত ইউনিয়ন হিসেবে পরিচয় পেয়েছে কুতুবপুর ইউনিয়ন।

বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ হলেও এই ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড থেকে ধরে ৯নং ওয়ার্ড পর্যন্ত কেউই জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত নয়। তার একটি উদাহরণ কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়। মনিরুল আলম সেন্টু এত উন্নয়ন করেও নিজের কার্যালয় ও কার্যালয়ের সামনের জলাবদ্ধতা করতে পারেনি নিরসন।

বর্ষা মৌসুম ছাড়াই ইউনিয়ন পরিষদের সামনে সহ পাগলা থেকে আসা জালকুড়ি পর্যন্ত ও ফতুল্লা রেলষ্টেশন থেকে আসা তক্কার মাঠ হয়ে ফতুল্লা ষ্টেডিয়ামের আসা রাস্তাটির প্রায় বিভিন্ন জায়গায় ড্রেনের ময়লা পানি উঠে জমে থাকার চিত্র দেখা যায়।

এছাড়া কুতুবপুর ইউনিয়নের সবচেয়ে বেশি জলাবদ্ধতায় আক্রান্ত হয়ে নিস্তেজ হয়ে পড়ে আছে আন্তর্জাতিক ষ্টেডিয়াম ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী ষ্টেডিয়াম।

এত বছরেও সাংসদ সদস্য ও উক্ত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পারেনি ষ্টেডিয়ামকে পানি থেকে মুক্ত করতে। বর্ষা মৌসুম ছাড়াই এই ষ্টেডিয়ামটি পুকুরে পরিণত হয়ে উঠেছে। যেখানে এক সময় আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট খেলা অনুষ্ঠিত হতো।

সবচেয়ে বেশি জলাবদ্ধতায় ভোগান্তি শিকার হচ্ছে কুতুবপুর ৮নং ওয়ার্ডের তক্কারমাঠ, শিয়াচর, পিলকুনি, নন্দলাপুর, পাগলা নয়ামাটি, ৯নং ওয়ার্ডের লামাপাড়া, রামারবাগ, লালখা, পূর্ব শিয়াচর, কুতুবপুর নয়ামাটি, ৭নং ওয়ার্ডের আলীগঞ্জ সহ ৫, ৬ ওয়ার্ডের বেশ কিছু বেশ কিছু এলাকা। অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলার মধ্যে সবচেয়ে দূর্গন্ধ ইউনিয়ন হিসেবেও খেতাব পেয়েছে কুতুবপুর ইউনিয়ন।

সিটি কর্পোরেশন সহ জেলার বিভিন্ন স্থানের ময়লা রাখার জায়গা উঠে উঠছে কুতুবপুর ইউনিয়ন। ফতুল্লা ষ্টেডিয়াম সংলগ্ন, জালকুড়ি, ভূইঘর সহ বেশ কিছু এলাকায়ই ফালানো হচ্ছে এই বিভিন্ন ময়লা ও আবর্জনা।

নারায়ণগঞ্জ জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন ও লোক সংখ্যায়ও বেশি কুতুবপুর হলেও জলাবদ্ধতা,রাস্তাঘাট ভঙ্গুর,ড্রেনেজের অনিষ্কাসন ব্যবস্থা,অপর্যাপ্ত পরিমান সরকারি সহায়তা থেকে বরাবর বঞ্চিত এই ইউনিয়নটি। নারায়ণগঞ্জ জেলার একটি অন্যতম মাদক ও কিশোর গ্যাংয়ের স্পট হয়ে উঠেছে কুতুবপুর ইউনিয়ন।

কুতুবপুরের নয়ামাটি, শাহী মহল্লা, নন্দলাপুর, পিলকুনি, আলীগঞ্জ, তক্কারমাঠ, লামাপাড়া শিয়াচর, ভূইঘর হয়ে উঠেছে মাদকের অন্যতম আখড়া সাথে কিশোরগ্যাংয়ের আশ্রয়স্থল। তিনবারের সফল চেয়ারম্যান হয়েও নিজের ইউনিয়ন পরিষদের সামনে জলাবদ্ধতা থেকে কেনো মুক্ত করতে পারেনি এ বিষয় জানার জন্য তার কার্যালয়ে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি।

মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।