ঢাকা ১১:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাঁধে মাছ ধরতে হাজারো মানুষের ঢল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০২:০৩:২৬ অপরাহ্ন, সোমাবার, ১৮ অক্টোবর ২০২১
  • / 173
প্রতিবছরের মতো এবারও ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চিলারং ও আকচা ইউনিয়নের শুক নদীর তীরঘেঁষা বুড়ির বাঁধে চলছে মাছ ধরার উৎসব।

রাতে বাঁধের গেট খুলে দেয়ায় এই মাছ উৎসবে যোগ দিয়েছেন আশপাশের গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। মাছ ধরতে ব্যস্ত সকলেই। মানুষের ভিড়ে পুরো এলাকায় একটি উৎসবমুখর পরিবেশ হয়ে উঠেছে। দূর-দূরান্ত থেকে অনেকে এসেছেন এই উৎসবে যোগ দিতে।

সোমবার সকালে বাঁধের গেট খুলে দেয়ায় এই এই উৎসবে যোগ দেয় আশপাশের গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ।

সারেজমিনে দেখা যায়, অসংখ্য মানুষ মাছ ধরতে ব্যস্ত। এদের মধ্যে নারী, পুরুষ ও শিশু রয়েছে। বাদ যাননি বৃদ্ধারাও। কারও হাতে পলো, কারও হাতে চাবিজাল, খেয়াজাল, টানাজাল বা ছেঁকাজাল। যাদের মাছ ধরার সরঞ্জাম নেই তারাও বসে নেই। খালি হাত দিয়েই কাঁদার মধ্যে মাছ খুঁজছে। আর নদীর পাড়ে হাজারো মানুষ ভিড় জমিয়েছে মাছ ধরা দেখতে। অনেকে মাছ না ধরলেও বন্ধু-বান্ধব ও স্বজনদের উৎসাহ দিচ্ছেন।

যানা যায়, ১৯৮০ সালের দিকে শুষ্ক মৌসুমে এ অঞ্চলের কৃষি জমির সেচ সুবিধার জন্য সদর উপজেলার আচকা ও চিলারং ইউনিয়নের মাঝামাঝি এলাকায় শুক নদীর ওপর একটি জলকপাট (স্লুইসগেট) নির্মাণ করা হয়। জলকপাটে আটকে থাকা সেই পানিতে প্রতিবছর মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে বিভিন্ন জাতের মাছের পোনা ছাড়া হয়। আর শীতের শুরুতেই বাঁধের পানি ছেড়ে দেয়ার পর মাছ ধরার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। এভাবেই প্রতিবছর চলে বুড়ির বাঁধে মাছ ধরার উৎসব।

ঠাকুরগাঁওয়ের আকচা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুব্রত কুমার বর্মণ জানান, মাছ ধরার উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রতিবছরের মতো এবারও মানুষের নেমেছে। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে এখানে মেলায় পরিনত হয়। আমরা চেষ্টা করি যাতে করে এখানে কোনো ধরনের সমস্যা না হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বাঁধে মাছ ধরতে হাজারো মানুষের ঢল

আপডেট : ০২:০৩:২৬ অপরাহ্ন, সোমাবার, ১৮ অক্টোবর ২০২১
প্রতিবছরের মতো এবারও ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চিলারং ও আকচা ইউনিয়নের শুক নদীর তীরঘেঁষা বুড়ির বাঁধে চলছে মাছ ধরার উৎসব।

রাতে বাঁধের গেট খুলে দেয়ায় এই মাছ উৎসবে যোগ দিয়েছেন আশপাশের গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। মাছ ধরতে ব্যস্ত সকলেই। মানুষের ভিড়ে পুরো এলাকায় একটি উৎসবমুখর পরিবেশ হয়ে উঠেছে। দূর-দূরান্ত থেকে অনেকে এসেছেন এই উৎসবে যোগ দিতে।

সোমবার সকালে বাঁধের গেট খুলে দেয়ায় এই এই উৎসবে যোগ দেয় আশপাশের গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ।

সারেজমিনে দেখা যায়, অসংখ্য মানুষ মাছ ধরতে ব্যস্ত। এদের মধ্যে নারী, পুরুষ ও শিশু রয়েছে। বাদ যাননি বৃদ্ধারাও। কারও হাতে পলো, কারও হাতে চাবিজাল, খেয়াজাল, টানাজাল বা ছেঁকাজাল। যাদের মাছ ধরার সরঞ্জাম নেই তারাও বসে নেই। খালি হাত দিয়েই কাঁদার মধ্যে মাছ খুঁজছে। আর নদীর পাড়ে হাজারো মানুষ ভিড় জমিয়েছে মাছ ধরা দেখতে। অনেকে মাছ না ধরলেও বন্ধু-বান্ধব ও স্বজনদের উৎসাহ দিচ্ছেন।

যানা যায়, ১৯৮০ সালের দিকে শুষ্ক মৌসুমে এ অঞ্চলের কৃষি জমির সেচ সুবিধার জন্য সদর উপজেলার আচকা ও চিলারং ইউনিয়নের মাঝামাঝি এলাকায় শুক নদীর ওপর একটি জলকপাট (স্লুইসগেট) নির্মাণ করা হয়। জলকপাটে আটকে থাকা সেই পানিতে প্রতিবছর মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে বিভিন্ন জাতের মাছের পোনা ছাড়া হয়। আর শীতের শুরুতেই বাঁধের পানি ছেড়ে দেয়ার পর মাছ ধরার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। এভাবেই প্রতিবছর চলে বুড়ির বাঁধে মাছ ধরার উৎসব।

ঠাকুরগাঁওয়ের আকচা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুব্রত কুমার বর্মণ জানান, মাছ ধরার উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রতিবছরের মতো এবারও মানুষের নেমেছে। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে এখানে মেলায় পরিনত হয়। আমরা চেষ্টা করি যাতে করে এখানে কোনো ধরনের সমস্যা না হয়।