ঢাকা ১২:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

একে একে চলে গেলো একসঙ্গে জন্ম নেয়া ৫ শিশুই

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১২:৩৩:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ নভেম্বর ২০২১
  • / 235
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় গৃহবধূ সাদিয়া খাতুন (২৪) একসঙ্গে পাঁচটি নবজাতকের জন্ম দিয়েছিলেন। এক এক করে এই পাঁচ নবজাতকের সবাই চলে গেছে মায়ের কোল ছেড়ে। এর মধ্যে সবশেষ মেয়েশিশুটি মারা গেলো আজ মঙ্গলবার সকালের দিকে।

সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের স্পেশাল কেয়ার নিউবর্ন ইউনিটে (স্ক্যানু) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিশুটি।

হাসপাতালের স্ক্যানু ওয়ার্ডে দায়িত্বরত নার্স নিলুফা খাতুন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

২ নভেম্বর (মঙ্গলবার) কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দেন কুমারখালীর পান্টি ইউনিয়নের পান্টি গ্রামের সোহেল রানার স্ত্রী সাদিয়া। যার মধ্যে চারটি মেয়ে ও একটি ছেলে ছিল।

তারা অপরিপক্ক অবস্থায় জন্ম নেয়। তাদের ওজনও অনেক কম ছিল।

জন্মের পরদিন বুধবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে প্রথম মারা যায় ছেলে সন্তানটি। পরে একে একে এদিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আরও দুই শিশুর মৃত্যু। শেষ পর্যন্ত পাঁচ নবজাতকের কাউকেই বাঁচানো গেল না।

হাসপাতালের জুনিয়র কনসালট্যান্ট (শিশু) এস এম নাজিম উদ্দিন বলেন, শিশুদের ওজন খুবই কম ছিল। একেকজনের ওজন গড়ে ৬০০ গ্রামের বেশি নয়। এ কারণে তাদের বেঁচে থাকা খুবই কঠিন ছিল।

তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়ার মতো কোনো ব্যবস্থা এ হাসপাতালে ছিল না। তিনি বলেন, ঢাকায় নিয়ে আইসিইউ সাপোর্টে রাখলে হয়তো তাদের বাঁচানো যেত।

কিন্তু আর্থিক অবস্থা ভালো না হওয়ার কারণে ওই পরিবারের পক্ষে তা সম্ভব হয়নি।

বাবা সোহেল রানা বলেন, চায়ের দোকান চালিয়ে কোনোরকমে সংসার চলে। নবজাতক সন্তানদের উন্নত চিকিৎসা করানোর মতো টাকা তাদের ছিল না।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

একে একে চলে গেলো একসঙ্গে জন্ম নেয়া ৫ শিশুই

আপডেট : ১২:৩৩:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ নভেম্বর ২০২১
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় গৃহবধূ সাদিয়া খাতুন (২৪) একসঙ্গে পাঁচটি নবজাতকের জন্ম দিয়েছিলেন। এক এক করে এই পাঁচ নবজাতকের সবাই চলে গেছে মায়ের কোল ছেড়ে। এর মধ্যে সবশেষ মেয়েশিশুটি মারা গেলো আজ মঙ্গলবার সকালের দিকে।

সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের স্পেশাল কেয়ার নিউবর্ন ইউনিটে (স্ক্যানু) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিশুটি।

হাসপাতালের স্ক্যানু ওয়ার্ডে দায়িত্বরত নার্স নিলুফা খাতুন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

২ নভেম্বর (মঙ্গলবার) কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দেন কুমারখালীর পান্টি ইউনিয়নের পান্টি গ্রামের সোহেল রানার স্ত্রী সাদিয়া। যার মধ্যে চারটি মেয়ে ও একটি ছেলে ছিল।

তারা অপরিপক্ক অবস্থায় জন্ম নেয়। তাদের ওজনও অনেক কম ছিল।

জন্মের পরদিন বুধবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে প্রথম মারা যায় ছেলে সন্তানটি। পরে একে একে এদিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আরও দুই শিশুর মৃত্যু। শেষ পর্যন্ত পাঁচ নবজাতকের কাউকেই বাঁচানো গেল না।

হাসপাতালের জুনিয়র কনসালট্যান্ট (শিশু) এস এম নাজিম উদ্দিন বলেন, শিশুদের ওজন খুবই কম ছিল। একেকজনের ওজন গড়ে ৬০০ গ্রামের বেশি নয়। এ কারণে তাদের বেঁচে থাকা খুবই কঠিন ছিল।

তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়ার মতো কোনো ব্যবস্থা এ হাসপাতালে ছিল না। তিনি বলেন, ঢাকায় নিয়ে আইসিইউ সাপোর্টে রাখলে হয়তো তাদের বাঁচানো যেত।

কিন্তু আর্থিক অবস্থা ভালো না হওয়ার কারণে ওই পরিবারের পক্ষে তা সম্ভব হয়নি।

বাবা সোহেল রানা বলেন, চায়ের দোকান চালিয়ে কোনোরকমে সংসার চলে। নবজাতক সন্তানদের উন্নত চিকিৎসা করানোর মতো টাকা তাদের ছিল না।