‘পৃথিবীর ফুসফুস সমুদ্রের রয়েছে অপার সম্ভাবনা’
- আপডেট : ১১:৫৫:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ জানুয়ারী ২০২২
- / 95
গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড আয়োজিত ‘ইকো-ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক সাংবাদিকদের এক কর্মশালার আলোচক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ওশানোগ্রাফিক বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোসলেম উদ্দিন এসব কথা বলেছেন। কর্মশালায় বিভিন্ন গণমাধ্যমের ২৮ জন সাংবাদিক অংশ নেয়।
ড. মোহাম্মদ মোসলেম উদ্দিন আরও বলেন, ‘বঙ্গোপসাগর আমাদের সম্পদ। অথচ আমাদের দেশে সমুদ্র মন্ত্রণালয় নেই, উল্লেখযোগ্য বাজেট নেই।’
কর্মশালায় দূষণের হাত থেকে সমুদ্রকে রক্ষায় পর্যটকদের সচেতন করতে সাংবাদিকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) জাবেদ আহমেদ।
আলোচক বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের পরিচালক (প্লানিং অ্যান্ড পাবলিকেশন) আবু তাহির মোহাম্মদ জাবের বলেন, আমরা দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করার চেষ্টা করছি। পর্যটন শিল্প বিষয়ক সরকারের মাস্টার প্ল্যানে দেশের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, সভ্যতা ও ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলো দেখে পর্যটনের উন্নয়ন এবং নতুন পর্যটন কেন্দ্র চিহ্নিত করা হবে।
তিনি জানান, দেশের পর্যটন শিল্পের প্রচারণার অংশ হিসেবে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়েছে https://www.beautifulbangladesh.gov.bd/। এখানে দেশের বিভিন্ন পর্যটন স্পটের ছবি, ভিডিও, এনিমেশন ভিডিও, পর্যটন স্থানের বিস্তারিত বর্ণনাসহ প্রচার করা হচ্ছে। এছাড়াও পর্যটন বিষয়ে বিভিন্ন নির্দেশনা দিতে সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।
আলোচক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির (বিএসএমআরএমইউ) মেরিটাইম ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. সাঈদ রাশিদুল হাসান বলেন, ‘আমাদের দেশে পর্যটন এলাকাগুলো দিন দিন দূষিত হচ্ছে। আমাদের পরিবেশের বিষয়টা মাথায় রাখতে হবে। আমরা যে সৌন্দর্য দেখছি, পরবর্তী প্রজন্ম যেন তাই দেখে, সেদিকে নজর দিতে হবে।’
কর্মশালায় পরিবেশবাদী সংগঠন সেভ আওয়ার সি-এর মহাসচিব মুহাম্মদ আনোয়ারুল হক বলেন, ‘আন্ডার ওয়াটার ডাইভিং হতে পারে দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি উল্লেখযোগ্য বিষয়বস্তু।’