ঢাকা ০৯:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মৌ পুকুর সূর্যমুখী সংঘের পাশে দাঁড়ালেন ইউএনও পরিমল কুমার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০১:০৫:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২২
  • / 85

এমনিতেই সারাদেশে জেঁকে বসেছে শীত। তার উপরে মাঘের প্রথম দিন থেকে শীতের দাপট যেন আরও বেড়ে গেছে। আর এই প্রচন্ড শীতের রাতে ইউএনও এর দেয়া উপহার শীতের কম্বল পেয়ে আনন্দে আবেগাপ্লুত হয়ে পরেন দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার মৌপুকুর গ্রামের মৌপুকুর সূর্যমুখী সংঘের সাধারণ সদস্যরা।

মৌপুকুর সূর্যমুখী সংঘ নামের এই ক্লাবটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৭ সালে। যার গভঃ রেজিষ্ট্রেশন নম্বর ১২০২/৯৭। সদস্য সংখ্যা প্রায় ৫২ জন। যার অধিকাংশ একদম হতদরিদ্র ও খেটেখুটে খাওয়া মানুষ। ক্লাবের বয়স দুই যুগেরও বেশি হলেও এ পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কোন সরকারি বা বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা অথবা অনুদান পায়নি এই প্রতিষ্ঠানটি। কোনভাবে টিন দিয়ে ঘেরা ক্লাবের ঘরটিও ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়ে গাছের সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ পর্যন্ত এই ক্লাবের হতদরিদ্র সদস্যদের পাশে কেউ না দাঁড়াননি। তবে এবার চলতি কনকনে শীতে কম্বল হাতে অন্ধকারে আলোকবর্তিকা হয়ে এই ক্লাবের পাশে দাঁড়ালেন বিরামপুর উপজেলার সুযোগ্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রী পরিমল কুমার সরকার। তিনি ফেসবুকের মাধ্যমে এই অবহেলিত ক্লাব এর বিষয়ে জানতে পারেন। এবং সাথে সাথেই ক্লাবের অসহায় এই সদস্যদের জন্য কিছু কম্বল পাঠান তিনি। সময় স্বল্পতার কারনে নিজে উপস্থিত হতে না পারলেও ভিডিও কলের মাধ্যমে সবার সাথে কথা বলেন মানবিক মনের অধিকারী এই প্রশাসনিক কর্মকর্তা। এই সংগঠনের পাশে থাকারও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
এই তীব্র শীতে শীতের কম্বল হাতে পেয়ে আনন্দে আবেগাপ্লুত হয়ে পরেন মৌপুকুর সূর্যমুখী সংঘের সাধারণ সদস্যরা। এই প্রথম কোন সরকারি উপহার পেলেন তারা। এজন্য ইউএনও মহোদয় কে কৃতজ্ঞচিত্তে ধন্যবাদ জানান এবং দু’হাত তুলে সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করেন সবাই।

কম্বল হাতে পেয়ে মৌপুকুর সূর্যমুখী সংঘের সাধারণ সদস্য শ্রী অজিত চন্দ্র জানান, আমি কখনও ভাবিনি যে ইউএনও স্যার এভাবে আমাদের পাশে দাঁড়াবে। আমি খুব খুশি হয়েছি।

সদস্য মো. সিদ্দিক আলী বলেন, এর আগে মেম্বার, চেয়ারম্যান কেউ আমাদের খোঁজ খবর নেয়নি। স্যার খুব মহান মানুষ। আমাদের দুঃখটা বুঝতে পেরছেন। তাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।

মৌপুকুর সূর্যমুখী সংঘের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন পলাশ বলেন, ক্লাবটাকে বাঁচাতে এর আগে অনেকের সাথেই যোগাযোগ করা হয়েছে। কিন্তু কেউ এই ক্লাবের পাশে দাঁড়াননি। ক্লাবের ঘরটি সংস্কারের অভাবে ভেঙে পরার উপক্রম হয়ে পরেছে। আমাদের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরিমল কুমার স্যার যে এভাবে আমাদের পাশে দাঁড়াবেন আমরা কখনোই ভাবিনি। এজন্য স্যারকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

পাশাপাশি স্যারের প্রতি অনুরোধ রইলো আমাদের অবহেলিত এই ক্লাবটাকে বাঁচাতে যেন আর একটু এগিয়ে আসেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মৌ পুকুর সূর্যমুখী সংঘের পাশে দাঁড়ালেন ইউএনও পরিমল কুমার

আপডেট : ০১:০৫:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২২

এমনিতেই সারাদেশে জেঁকে বসেছে শীত। তার উপরে মাঘের প্রথম দিন থেকে শীতের দাপট যেন আরও বেড়ে গেছে। আর এই প্রচন্ড শীতের রাতে ইউএনও এর দেয়া উপহার শীতের কম্বল পেয়ে আনন্দে আবেগাপ্লুত হয়ে পরেন দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার মৌপুকুর গ্রামের মৌপুকুর সূর্যমুখী সংঘের সাধারণ সদস্যরা।

মৌপুকুর সূর্যমুখী সংঘ নামের এই ক্লাবটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৭ সালে। যার গভঃ রেজিষ্ট্রেশন নম্বর ১২০২/৯৭। সদস্য সংখ্যা প্রায় ৫২ জন। যার অধিকাংশ একদম হতদরিদ্র ও খেটেখুটে খাওয়া মানুষ। ক্লাবের বয়স দুই যুগেরও বেশি হলেও এ পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কোন সরকারি বা বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা অথবা অনুদান পায়নি এই প্রতিষ্ঠানটি। কোনভাবে টিন দিয়ে ঘেরা ক্লাবের ঘরটিও ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়ে গাছের সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ পর্যন্ত এই ক্লাবের হতদরিদ্র সদস্যদের পাশে কেউ না দাঁড়াননি। তবে এবার চলতি কনকনে শীতে কম্বল হাতে অন্ধকারে আলোকবর্তিকা হয়ে এই ক্লাবের পাশে দাঁড়ালেন বিরামপুর উপজেলার সুযোগ্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রী পরিমল কুমার সরকার। তিনি ফেসবুকের মাধ্যমে এই অবহেলিত ক্লাব এর বিষয়ে জানতে পারেন। এবং সাথে সাথেই ক্লাবের অসহায় এই সদস্যদের জন্য কিছু কম্বল পাঠান তিনি। সময় স্বল্পতার কারনে নিজে উপস্থিত হতে না পারলেও ভিডিও কলের মাধ্যমে সবার সাথে কথা বলেন মানবিক মনের অধিকারী এই প্রশাসনিক কর্মকর্তা। এই সংগঠনের পাশে থাকারও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
এই তীব্র শীতে শীতের কম্বল হাতে পেয়ে আনন্দে আবেগাপ্লুত হয়ে পরেন মৌপুকুর সূর্যমুখী সংঘের সাধারণ সদস্যরা। এই প্রথম কোন সরকারি উপহার পেলেন তারা। এজন্য ইউএনও মহোদয় কে কৃতজ্ঞচিত্তে ধন্যবাদ জানান এবং দু’হাত তুলে সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করেন সবাই।

কম্বল হাতে পেয়ে মৌপুকুর সূর্যমুখী সংঘের সাধারণ সদস্য শ্রী অজিত চন্দ্র জানান, আমি কখনও ভাবিনি যে ইউএনও স্যার এভাবে আমাদের পাশে দাঁড়াবে। আমি খুব খুশি হয়েছি।

সদস্য মো. সিদ্দিক আলী বলেন, এর আগে মেম্বার, চেয়ারম্যান কেউ আমাদের খোঁজ খবর নেয়নি। স্যার খুব মহান মানুষ। আমাদের দুঃখটা বুঝতে পেরছেন। তাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।

মৌপুকুর সূর্যমুখী সংঘের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন পলাশ বলেন, ক্লাবটাকে বাঁচাতে এর আগে অনেকের সাথেই যোগাযোগ করা হয়েছে। কিন্তু কেউ এই ক্লাবের পাশে দাঁড়াননি। ক্লাবের ঘরটি সংস্কারের অভাবে ভেঙে পরার উপক্রম হয়ে পরেছে। আমাদের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরিমল কুমার স্যার যে এভাবে আমাদের পাশে দাঁড়াবেন আমরা কখনোই ভাবিনি। এজন্য স্যারকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

পাশাপাশি স্যারের প্রতি অনুরোধ রইলো আমাদের অবহেলিত এই ক্লাবটাকে বাঁচাতে যেন আর একটু এগিয়ে আসেন তিনি।