ঢাকা ০৩:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পরিযায়ী পাখির কলরবে মুখরিত করতোয়া

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
  • আপডেট : ১০:০২:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / 162
সিরাজগঞ্জের তাড়াশের নওগাঁর পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া করতোয়া নদী পরিযায়ী পাখির কলরবে মুখরিত হয়ে উঠেছে। প্রতিবছর শীতের এই মৌসুমে করতোয়া নদীতে ঝাঁকে ঝাঁকে পরিযায়ী পাখির আগমন ঘটে। ভোর থেকে রাত পর্যন্ত পাখির কিচিরমিচির কলতানে মুখরিত হয়ে ওঠে নদী অঞ্চল। প্রতিদিন পাখির জলকেলির দৃশ্য দেখার জন্য নদীর পাড়ে ভিড় করে বিভিন্ন শোণির মানুষ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, করতোয়া নদীতে বিভিন্ন প্রজাতির হাজার হাজার পাখি ভেসে বেড়াচ্ছে। নীলশির, লালশির, কালো হাঁস, বালিহাঁস, লেঞ্জা হাঁস, খুদে গাঙচিল, বক ও পানকৌড়ি পাখি দলে দলে পানিতে সাঁতার কেটে বেড়াচ্ছে।

স্থানীয়রা জানায়, শাহ শরীফ জিন্দানির (রহ.) পুণ্যভূমি নওগাঁ ঘেঁষে প্রবাহিত করতোয়া নদী একসময় অনেক বড় ছিল। কিন্তু কালের বিবর্তনে নদীর দুপাড়ে বসতি স্থাপন হওয়ায় নদীটি অনেকটাই সরু হয়ে গেছে। অন্যদিকে নদীর পাশ দিয়ে মহাসড়ক, সড়ক ও বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণের কারণে নদীটি আরও সংকুচিত হয়ে গেছে।

তাড়াশ ডিগ্রি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মর্জিনা ইসলাম বলেন, পৃথিবীতে ১০ হাজারেরও বেশি প্রজাতির পাখি রয়েছে। এদের মধ্যে প্রায় ২ হাজার প্রজাতির অতিথি পাখি। এরা নিজ দেশের তীব্র শীত থেকে বাঁচতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আসা-যাওয়া করে থাকে। অতিথি পাখি শীতকালের সৌন্দর্য। পাখিদের উপস্থিতিতে প্রকৃতিতে আসে নতুন রূপ।

নওগাঁ গ্রামের বাসিন্দা আলহাজ্ব আলী খন্দকার বলেন, ‘প্রতিবছরের মতো এ বছরও হাজার হাজার পাখি খাবারের আশায় আমাদের এলাকায় এসেছে। তারা জড়ো হচ্ছে করতোয়া নদীতে।’

এ বিষয়ে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেজবাউল করিম বলেন, পাখি প্রকৃতির অলংকার। এই অলংকার ধ্বংস করা মানে পরিবেশকে ধ্বংস করা। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার জন্য পাখির বিচরণক্ষেত্র রক্ষা করতে হবে। পাশাপাশি পাখিদের বিরক্ত করা এবং পাখি শিকার বন্ধ করতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

পরিযায়ী পাখির কলরবে মুখরিত করতোয়া

আপডেট : ১০:০২:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২
সিরাজগঞ্জের তাড়াশের নওগাঁর পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া করতোয়া নদী পরিযায়ী পাখির কলরবে মুখরিত হয়ে উঠেছে। প্রতিবছর শীতের এই মৌসুমে করতোয়া নদীতে ঝাঁকে ঝাঁকে পরিযায়ী পাখির আগমন ঘটে। ভোর থেকে রাত পর্যন্ত পাখির কিচিরমিচির কলতানে মুখরিত হয়ে ওঠে নদী অঞ্চল। প্রতিদিন পাখির জলকেলির দৃশ্য দেখার জন্য নদীর পাড়ে ভিড় করে বিভিন্ন শোণির মানুষ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, করতোয়া নদীতে বিভিন্ন প্রজাতির হাজার হাজার পাখি ভেসে বেড়াচ্ছে। নীলশির, লালশির, কালো হাঁস, বালিহাঁস, লেঞ্জা হাঁস, খুদে গাঙচিল, বক ও পানকৌড়ি পাখি দলে দলে পানিতে সাঁতার কেটে বেড়াচ্ছে।

স্থানীয়রা জানায়, শাহ শরীফ জিন্দানির (রহ.) পুণ্যভূমি নওগাঁ ঘেঁষে প্রবাহিত করতোয়া নদী একসময় অনেক বড় ছিল। কিন্তু কালের বিবর্তনে নদীর দুপাড়ে বসতি স্থাপন হওয়ায় নদীটি অনেকটাই সরু হয়ে গেছে। অন্যদিকে নদীর পাশ দিয়ে মহাসড়ক, সড়ক ও বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণের কারণে নদীটি আরও সংকুচিত হয়ে গেছে।

তাড়াশ ডিগ্রি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মর্জিনা ইসলাম বলেন, পৃথিবীতে ১০ হাজারেরও বেশি প্রজাতির পাখি রয়েছে। এদের মধ্যে প্রায় ২ হাজার প্রজাতির অতিথি পাখি। এরা নিজ দেশের তীব্র শীত থেকে বাঁচতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আসা-যাওয়া করে থাকে। অতিথি পাখি শীতকালের সৌন্দর্য। পাখিদের উপস্থিতিতে প্রকৃতিতে আসে নতুন রূপ।

নওগাঁ গ্রামের বাসিন্দা আলহাজ্ব আলী খন্দকার বলেন, ‘প্রতিবছরের মতো এ বছরও হাজার হাজার পাখি খাবারের আশায় আমাদের এলাকায় এসেছে। তারা জড়ো হচ্ছে করতোয়া নদীতে।’

এ বিষয়ে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেজবাউল করিম বলেন, পাখি প্রকৃতির অলংকার। এই অলংকার ধ্বংস করা মানে পরিবেশকে ধ্বংস করা। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার জন্য পাখির বিচরণক্ষেত্র রক্ষা করতে হবে। পাশাপাশি পাখিদের বিরক্ত করা এবং পাখি শিকার বন্ধ করতে হবে।