ঢাকা ১০:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আ’লীগের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ জোট

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
  • আপডেট : ০৫:৫৭:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জুন ২০২২
  • / 112

এবার নারায়ণগঞ্জে বিনা বাধায় বিএনপি তাদের দলীয় কার্যক্রম শান্তিপূর্ন ভাবে করতে পেরেছে। আর এতে করে বিএনপি নেতাকর্মীরা চাঙ্গা হতে শুরু করেছে। আগামী দিনের রাজনীতিতে তারা মাঠ দখল করতে বলে এমনই ইঙ্গিত বিএনপি নেতাকর্মীরদের।

এখন তারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আওয়ামীলীগ সরকার পতনের আন্দোলন শুরু করারও ঘোষণা দিয়ে যাচ্ছে। আর এ কারণে রাজনীতিতে অস্থিরতা বাড়তে পারে বলে অনেকে মনে করেন। বিগত বেশ কয়েক বছর বিএনপি রাজপথে নামতে পারেনি। তাদের সবচেয়ে বড় বাধা ছিল পুলিশ। এবার পুলিশ বিএনপির কার্যক্রমে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। এছাতা আওয়ামীলীগ বা তাদের সহযোগি সংগঠনগুলিও কোন প্রকার বাধা দেয়ার অপচেষ্টা করেনি। যার কারনে তারা এবার শান্তিপূর্ন ভাবে জিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী ঘটা করে পালন করতে পেড়েছে।শুধু তাই নয় এবার বিএনপির পাশাপাশি ইসলামী দল ও বাম দলগুলি আওয়ামীলীগ সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে শুরু করেছে। এর মূল কারণ হলো দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি।

সাধারণ মানুষ মনে করে অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট যেন সরকারের নিয়ন্ত্রণে বাইরে চলে গেছে। দিন দিন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বেড়েই চলছে। যার কারণে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা মুখ খুলতে পারছে না। আস্তে আস্তে তারা সাধারণ মানুষের সহানুভ’তি হারাতে শুরু করেছে। এবার গর্জে উঠছে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন।

শহীদ জিয়ার মৃত্যুবার্ষিকীর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নেতাকর্মীরা আওয়ামীলীগ সরকারের সমালোচনা করে বলেন, আমরা কতটুকু শক্তিশালী অর্জন করতে পরেছি এটা ফয়সালা হবে রাজপথে। আমাদের হারানোর কিছু নেই। আমাদের ভয় পাওয়ার কিছু নাই।
রানা মুজিব বলেন, নারায়ণগঞ্জ বিএনপিতে এখন সকলেই মাদবর হয়ে গেছে। তাই কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই অ্যডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের বহিস্কার প্রত্যাহার করে নারায়ণগঞ্জ বিএনপিতে ফিরিয়ে আনা হোক। তা হলে আওয়ামীলীগ সরকার পতনের আন্দোলন নারায়ণগঞ্জে বেগবান হবে।

সাবেক ছাত্রদল নেতা মাজহারুল ইসলামে জোসেফ বলেন, যারা খেলোয়াড় তাদের কোনো সমস্যা নেই। আমরা প্র্যাকটিস করতে থাকি। কতক্ষণ পর্যন্ত তারা আমাদের দূরে রাখবো আমরা দেখতে চাই। যেহেতু আমরা ৮০ ভাগ লোক একত্রিত। আমরাই মাঠে থাকবো। আমাদের ভয়ের কিছু নেই। আমাদের ধৈর্য্য ধরতে হবে। আমরা জিয়াউর রহমানের আদর্শকে লালন করে বাংলাদেশের জনগণের কাজে পৌঁছে দিব। নজরুল ইসলাম আজাদ বলেন, আওয়ামী লীগের লজ্জা শরমের অভাব, তারা চাপাবাজী করে দেশ চালাতে চাইছে। তাদের চাপাবাজীর দিন শেষ। মিথ্যা মামলা, হামলা দিয়ে দেশ নায়ক তারেক রহমানকে জোর করে বিদেশে পাঠিয়ে দিয়ে এখন দেশে আসতে বাধা সৃষ্টি করছে। এর জবাব অবৈধ সরকারকে এ দেশের মাটিতে দিতে হবে।
অপরদিকে ফতুল্লায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার আহবায়ক মাওলানা দ্বীন ইসলাম বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনে করে, কোনো দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু সম্ভব নয়। বিগত কয়েকটি জাতীয় নির্বাচন ও স্থানীয় নির্বাচনে এটা বারবার প্রমানিত হয়েছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এদেশের গণমানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে, এদেশের মানুষ এখন বুঝতে পারছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাধ্যমে দেশের বর্তমান নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি মোকাবিলা করা সম্ভব।

এছাড়া নারায়ণগঞ্জেও সুসংগঠিত হচ্ছে নতুন জোটের দলসমূহ। একদিকে বাম জোটের বাইরে নতুন ডান-বামের সংমিশ্রন নিয়ে আলোচনায় রয়েছে নতুন জোট। মূল লক্ষ্য হচ্ছে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেয়ার লড়াইয়ে নিজেদের একতাবদ্ধ করা।

এভাবে আওয়ামীলীগ সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে শুরু করেছে একাধিক রাজনৈতিক দল। আর এ অবস্থায় আমনের দিনগুলিতে রাজনৈতিক অস্থিরতায় কাটাতে হবে সাধারণ মানুষকে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

আ’লীগের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ জোট

আপডেট : ০৫:৫৭:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জুন ২০২২

এবার নারায়ণগঞ্জে বিনা বাধায় বিএনপি তাদের দলীয় কার্যক্রম শান্তিপূর্ন ভাবে করতে পেরেছে। আর এতে করে বিএনপি নেতাকর্মীরা চাঙ্গা হতে শুরু করেছে। আগামী দিনের রাজনীতিতে তারা মাঠ দখল করতে বলে এমনই ইঙ্গিত বিএনপি নেতাকর্মীরদের।

এখন তারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আওয়ামীলীগ সরকার পতনের আন্দোলন শুরু করারও ঘোষণা দিয়ে যাচ্ছে। আর এ কারণে রাজনীতিতে অস্থিরতা বাড়তে পারে বলে অনেকে মনে করেন। বিগত বেশ কয়েক বছর বিএনপি রাজপথে নামতে পারেনি। তাদের সবচেয়ে বড় বাধা ছিল পুলিশ। এবার পুলিশ বিএনপির কার্যক্রমে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। এছাতা আওয়ামীলীগ বা তাদের সহযোগি সংগঠনগুলিও কোন প্রকার বাধা দেয়ার অপচেষ্টা করেনি। যার কারনে তারা এবার শান্তিপূর্ন ভাবে জিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী ঘটা করে পালন করতে পেড়েছে।শুধু তাই নয় এবার বিএনপির পাশাপাশি ইসলামী দল ও বাম দলগুলি আওয়ামীলীগ সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে শুরু করেছে। এর মূল কারণ হলো দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি।

সাধারণ মানুষ মনে করে অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট যেন সরকারের নিয়ন্ত্রণে বাইরে চলে গেছে। দিন দিন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বেড়েই চলছে। যার কারণে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা মুখ খুলতে পারছে না। আস্তে আস্তে তারা সাধারণ মানুষের সহানুভ’তি হারাতে শুরু করেছে। এবার গর্জে উঠছে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন।

শহীদ জিয়ার মৃত্যুবার্ষিকীর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নেতাকর্মীরা আওয়ামীলীগ সরকারের সমালোচনা করে বলেন, আমরা কতটুকু শক্তিশালী অর্জন করতে পরেছি এটা ফয়সালা হবে রাজপথে। আমাদের হারানোর কিছু নেই। আমাদের ভয় পাওয়ার কিছু নাই।
রানা মুজিব বলেন, নারায়ণগঞ্জ বিএনপিতে এখন সকলেই মাদবর হয়ে গেছে। তাই কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই অ্যডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের বহিস্কার প্রত্যাহার করে নারায়ণগঞ্জ বিএনপিতে ফিরিয়ে আনা হোক। তা হলে আওয়ামীলীগ সরকার পতনের আন্দোলন নারায়ণগঞ্জে বেগবান হবে।

সাবেক ছাত্রদল নেতা মাজহারুল ইসলামে জোসেফ বলেন, যারা খেলোয়াড় তাদের কোনো সমস্যা নেই। আমরা প্র্যাকটিস করতে থাকি। কতক্ষণ পর্যন্ত তারা আমাদের দূরে রাখবো আমরা দেখতে চাই। যেহেতু আমরা ৮০ ভাগ লোক একত্রিত। আমরাই মাঠে থাকবো। আমাদের ভয়ের কিছু নেই। আমাদের ধৈর্য্য ধরতে হবে। আমরা জিয়াউর রহমানের আদর্শকে লালন করে বাংলাদেশের জনগণের কাজে পৌঁছে দিব। নজরুল ইসলাম আজাদ বলেন, আওয়ামী লীগের লজ্জা শরমের অভাব, তারা চাপাবাজী করে দেশ চালাতে চাইছে। তাদের চাপাবাজীর দিন শেষ। মিথ্যা মামলা, হামলা দিয়ে দেশ নায়ক তারেক রহমানকে জোর করে বিদেশে পাঠিয়ে দিয়ে এখন দেশে আসতে বাধা সৃষ্টি করছে। এর জবাব অবৈধ সরকারকে এ দেশের মাটিতে দিতে হবে।
অপরদিকে ফতুল্লায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার আহবায়ক মাওলানা দ্বীন ইসলাম বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনে করে, কোনো দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু সম্ভব নয়। বিগত কয়েকটি জাতীয় নির্বাচন ও স্থানীয় নির্বাচনে এটা বারবার প্রমানিত হয়েছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এদেশের গণমানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে, এদেশের মানুষ এখন বুঝতে পারছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাধ্যমে দেশের বর্তমান নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি মোকাবিলা করা সম্ভব।

এছাড়া নারায়ণগঞ্জেও সুসংগঠিত হচ্ছে নতুন জোটের দলসমূহ। একদিকে বাম জোটের বাইরে নতুন ডান-বামের সংমিশ্রন নিয়ে আলোচনায় রয়েছে নতুন জোট। মূল লক্ষ্য হচ্ছে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেয়ার লড়াইয়ে নিজেদের একতাবদ্ধ করা।

এভাবে আওয়ামীলীগ সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে শুরু করেছে একাধিক রাজনৈতিক দল। আর এ অবস্থায় আমনের দিনগুলিতে রাজনৈতিক অস্থিরতায় কাটাতে হবে সাধারণ মানুষকে।