যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা, উত্তপ্ত শৈলকুপায় সংঘর্ষ-ভাঙচুর
- আপডেট : ০৭:৫৩:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জুন ২০২২
- / 193
বুধবার সকালে একাধিক গ্রুপ ঢাল-সড়কি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু করলে পুলিশ একাধিক রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এরপর ঝিনাইদহ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে শহরের চৌরাস্তা মোড়ে চোরাগুপ্তা হামলায় উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান ভুট্টো আহত হন। পরে ভাঙচুর করা হয় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কৃষকলীগ নেতা জাহিদুন্নবী কালু ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আরিফ রেজা মন্নুর বাড়িঘর।
পুলিশ জানায়, দলীয় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে শৈলকুপা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি পৌর মেয়র আশরাফুল আজম ও পৌর আওয়ামী লীগ নেতা ওয়াহিদুজ্জামান শিকদার ইকুর সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে ইকুর সমর্থক থানা যুবলীগের সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান ভুট্টো (৪০) ও তার স্ত্রীকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে মেয়র গ্রুপের সমর্থকেরা।
ওয়াহিদুজ্জামান শিকদার ইকু অভিযোগ করেন, মঙ্গলবার রাতে আসাদুজ্জামান ভুট্টো স্ত্রী লিজাকে নিয়ে চৌরাস্তা মোড়ে আম কিনছিলেন। এ সময় মেয়রের ছেলে রাজিবের নেতৃত্বে বাদশা, নুর ইসলাম, জাহাঙ্গীর ও সাহেব আলীসহ ১০/১২ জন চাপাতি দিয়ে তাকে কুপিয়ে জখম করে। স্ত্রী ঠেকাতে গেলে তাকেও কুপিয়ে আহত করা হয়।
বিষয়টি নিয়ে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মেয়র আশরাফুল আজমের ব্যক্তিগত মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
তবে মেয়রের ছেলে রাজিবকে মোবাইল করা হলে তিনি ‘ব্যস্ত আছি’ বলে লাইন কেটে দেন।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করার জন্য ১৪ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক করতে ঝিনাইদহ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।