ঢাকা ১১:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রাম-১০ উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
  • আপডেট : ০৮:২৪:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুলাই ২০২৩
  • / 156
চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচনে উৎসব মূখর পরিবেশে ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। চলছে গণনা। বোরবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে ভোট গ্রহণ চলে বিকেল ৪ টা পযর্ন্ত বিরতিহীনভাবে ৩ এলাকা—ডবলমুরিং, পাহাড়তলী, হালিশহর নিয়ে গঠিত চট্টগ্রাম ১০ আসনের ১৫৬টি কেন্দ্রের ভোট গ্রহন চলেছে।

সবগুলো কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ চলে। ঢাকা থেকে সরাসরি সিসি ক্যামেরায় ভোটের পরিস্থিতি পর্যেবক্ষণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সকাল ৮টার পরে নগরীর টাইগারপাসস্থ নিউ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মহিউদ্দীন বাচ্চু। ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মহিউদ্দীন বাচ্চু সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি আছে। বিগত কয়েকটি নির্বাচনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারের সংখ্যা বাড়বে। নারী কেন্দ্রের চেয়ে পুরুষ কেন্দ্রে ভোটারের সংখ্যা কম। আমরা আশা করছি, ভোটাররা কেন্দ্রে এসে ভোট দেবেন। তবে, ভোটকেন্দ্রে ইভিএমের ত্রুটির কারণে ভোট দিতে সমস্যা হচ্ছে।’

এদিকে, সকাল ৯টায় শহীদনগর উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়,পাঁচটি কেন্দ্রের একটিতে মাত্র ৫০টি ভোট পড়েছে। আবার পাশে লালখান বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নারী ভোটারদের লাইন। সাংবাদিক চলে যাওয়ার পর নারী ভোটারদের অধিকাংশ চলে যায়। তবে, নির্বাচনি কর্মকর্তারা সে সময় বলেছিলেন, বেলা বাড়লে ভোটারও বাড়েব।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৮, ১১, ১২, ১৩, ১৪, ২৪, ২৫ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে চট্টগ্রাম-১০ আসন। এ আসনে চার লাখ ৮৮ হাজার ৬৩৩ জন ভোটার। এর মধ্যে দুই লাখ ৪৮ হাজার ৯২৯ জন পুরুষ এবং দুই লাখ ৩৯ হাজার ৬৮০ জন নারী। নির্বাচনি এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে দায়িত্ব পালনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আইনানুগ নির্দেশনা দেয়ার জন্য আটজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং দুজন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

এ আসনে গত তিনবারের সংসদ সদস্য ছিলেন ডা. আফছারুল আমীন। গত ২ জুন তার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ৪ জুলাই মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীসহ ছয়জন মনোনয়নপত্র জমা দেন। ৬ জুলাই এসব মনোনয়নপত্র বাছাই হয়।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চু ছাড়াও জাতীয় পার্টির মো. সামসুল আলম, তৃণমূল বিএনপির দীপক কুমার পালিত ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের রশীদ মিয়া নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে মোহাম্মদ আরমান আলী ও মঞ্জুরুল ইসলাম ভুঁইয়ার মনোনয়ন বাতিল করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

চট্টগ্রাম-১০ উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা

আপডেট : ০৮:২৪:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুলাই ২০২৩
চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচনে উৎসব মূখর পরিবেশে ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। চলছে গণনা। বোরবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে ভোট গ্রহণ চলে বিকেল ৪ টা পযর্ন্ত বিরতিহীনভাবে ৩ এলাকা—ডবলমুরিং, পাহাড়তলী, হালিশহর নিয়ে গঠিত চট্টগ্রাম ১০ আসনের ১৫৬টি কেন্দ্রের ভোট গ্রহন চলেছে।

সবগুলো কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ চলে। ঢাকা থেকে সরাসরি সিসি ক্যামেরায় ভোটের পরিস্থিতি পর্যেবক্ষণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সকাল ৮টার পরে নগরীর টাইগারপাসস্থ নিউ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মহিউদ্দীন বাচ্চু। ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মহিউদ্দীন বাচ্চু সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি আছে। বিগত কয়েকটি নির্বাচনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারের সংখ্যা বাড়বে। নারী কেন্দ্রের চেয়ে পুরুষ কেন্দ্রে ভোটারের সংখ্যা কম। আমরা আশা করছি, ভোটাররা কেন্দ্রে এসে ভোট দেবেন। তবে, ভোটকেন্দ্রে ইভিএমের ত্রুটির কারণে ভোট দিতে সমস্যা হচ্ছে।’

এদিকে, সকাল ৯টায় শহীদনগর উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়,পাঁচটি কেন্দ্রের একটিতে মাত্র ৫০টি ভোট পড়েছে। আবার পাশে লালখান বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নারী ভোটারদের লাইন। সাংবাদিক চলে যাওয়ার পর নারী ভোটারদের অধিকাংশ চলে যায়। তবে, নির্বাচনি কর্মকর্তারা সে সময় বলেছিলেন, বেলা বাড়লে ভোটারও বাড়েব।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৮, ১১, ১২, ১৩, ১৪, ২৪, ২৫ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে চট্টগ্রাম-১০ আসন। এ আসনে চার লাখ ৮৮ হাজার ৬৩৩ জন ভোটার। এর মধ্যে দুই লাখ ৪৮ হাজার ৯২৯ জন পুরুষ এবং দুই লাখ ৩৯ হাজার ৬৮০ জন নারী। নির্বাচনি এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে দায়িত্ব পালনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আইনানুগ নির্দেশনা দেয়ার জন্য আটজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং দুজন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

এ আসনে গত তিনবারের সংসদ সদস্য ছিলেন ডা. আফছারুল আমীন। গত ২ জুন তার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ৪ জুলাই মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীসহ ছয়জন মনোনয়নপত্র জমা দেন। ৬ জুলাই এসব মনোনয়নপত্র বাছাই হয়।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চু ছাড়াও জাতীয় পার্টির মো. সামসুল আলম, তৃণমূল বিএনপির দীপক কুমার পালিত ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের রশীদ মিয়া নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে মোহাম্মদ আরমান আলী ও মঞ্জুরুল ইসলাম ভুঁইয়ার মনোনয়ন বাতিল করা হয়।