ঢাকা ০২:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাল্যবিয়ে রুখে দিল পুলিশ, স্কুলে গেলো কিশোরী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০১:২৩:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / 90
বিয়ের আয়োজন সম্পন্ন। প্রস্তুতিও শেষ। অপেক্ষা ছিল শুধু বরের। বর আসলেই কনেকে শ্বশুরবাড়ি পাঠানো হবে। কিন্তু সেই মুহূর্তে উপস্থিত হলো পুলিশ। পুলিশ আসার সংবাদ পেয়ে বরও আর আসেনি, বিয়েও হয়নি। বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পায় ১৪ বছর বয়সী নবম শ্রেণির এক ছাত্রী।

শ্বশুরবাড়ির পরিবর্তে সেই শিক্ষার্থীকে স্কুলে পাঠানোর ব্যবস্থা করে চুয়াডাঙ্গা থানা পুলিশ। বাবার আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে মেয়েটির দায়িত্বও গ্রহণ করেন চুয়াডাঙ্গা থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন।

শনিবার চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ছাগলাপাড়া গাড়াবাড়িয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

চুয়াডাঙ্গা থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি, এখানে নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর বিয়ে হচ্ছে। এরপর স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, স্কুলের শিক্ষকসহ আমরা আসি। আমরা মেয়ের অভিভাবককে বুঝিয়ে বলার পর তিনি আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে মেয়ের পড়ালেখা চালানোর অক্ষমতা প্রকাশ করেন। তখন আমরা মেয়ের পড়াশোনার যাবতীয় দায়িত্ব গ্রহণ করি।

তাৎক্ষণিকভাবেই মেয়ের দুই বছরের স্কুল ফি, পরীক্ষার ফিসহ বিদ্যালয়ের সব খরচ পরিশোধ করা হয়। এছাড়াও তার যাবতীয় শিক্ষা উপকরণেরও ব্যবস্থা করে দেয়া হয়। পরে সেখানে থাকা সবাই মিষ্টিমুখ করেন।

ওসি বলেন, শ্বশুরবাড়ি পাঠিয়ে এই শিক্ষার্থীর নতুন জীবন শুরু করতে চেয়েছিল পরিবার। আমরা স্কুলে পাঠিয়ে তার নতুন জীবন শুরু করলাম।

এ সময় স্থানীয় সীমান্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মোছাম্মৎ মেহেজাবিন, স্থানীয় ইউপি সদস্য জিন্নু মেম্বার, মানবাধিকারকর্মী অ্যাডভোকেট মানি খন্দকার, চুয়াডাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ ইমরান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বাল্যবিয়ে রুখে দিল পুলিশ, স্কুলে গেলো কিশোরী

আপডেট : ০১:২৩:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
বিয়ের আয়োজন সম্পন্ন। প্রস্তুতিও শেষ। অপেক্ষা ছিল শুধু বরের। বর আসলেই কনেকে শ্বশুরবাড়ি পাঠানো হবে। কিন্তু সেই মুহূর্তে উপস্থিত হলো পুলিশ। পুলিশ আসার সংবাদ পেয়ে বরও আর আসেনি, বিয়েও হয়নি। বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পায় ১৪ বছর বয়সী নবম শ্রেণির এক ছাত্রী।

শ্বশুরবাড়ির পরিবর্তে সেই শিক্ষার্থীকে স্কুলে পাঠানোর ব্যবস্থা করে চুয়াডাঙ্গা থানা পুলিশ। বাবার আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে মেয়েটির দায়িত্বও গ্রহণ করেন চুয়াডাঙ্গা থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন।

শনিবার চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ছাগলাপাড়া গাড়াবাড়িয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

চুয়াডাঙ্গা থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি, এখানে নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর বিয়ে হচ্ছে। এরপর স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, স্কুলের শিক্ষকসহ আমরা আসি। আমরা মেয়ের অভিভাবককে বুঝিয়ে বলার পর তিনি আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে মেয়ের পড়ালেখা চালানোর অক্ষমতা প্রকাশ করেন। তখন আমরা মেয়ের পড়াশোনার যাবতীয় দায়িত্ব গ্রহণ করি।

তাৎক্ষণিকভাবেই মেয়ের দুই বছরের স্কুল ফি, পরীক্ষার ফিসহ বিদ্যালয়ের সব খরচ পরিশোধ করা হয়। এছাড়াও তার যাবতীয় শিক্ষা উপকরণেরও ব্যবস্থা করে দেয়া হয়। পরে সেখানে থাকা সবাই মিষ্টিমুখ করেন।

ওসি বলেন, শ্বশুরবাড়ি পাঠিয়ে এই শিক্ষার্থীর নতুন জীবন শুরু করতে চেয়েছিল পরিবার। আমরা স্কুলে পাঠিয়ে তার নতুন জীবন শুরু করলাম।

এ সময় স্থানীয় সীমান্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মোছাম্মৎ মেহেজাবিন, স্থানীয় ইউপি সদস্য জিন্নু মেম্বার, মানবাধিকারকর্মী অ্যাডভোকেট মানি খন্দকার, চুয়াডাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ ইমরান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।