ঢাকা ১২:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চলতি বছর বজ্রপাতে ৩২৯ মৃত্যু

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১২:২৭:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অক্টোবর ২০২১
  • / 78
চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত দেশে বজ্রপাতে অন্তত ৩২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে। সবগুলো মৃত্যুই হয়েছে খোলা স্থানে। সরকার তাই বজ্রপাত আশ্রয়কেন্দ্র করার পরিকল্পনা করছে।

দুর্যোগ ববস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান এসব তথ্য জানিয়েছেন।

আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস ও ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির ৫ বছর পদার্পণ উদযাপন উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।

এ প্রকল্পের আওতায় বজ্রপাতের ৪০ মিনিট আগে সতর্কবার্তা দেওয়ার যন্ত্র কিনবে সরকার। একই সঙ্গে বজ্রপাত থেকে বাঁচতে আশ্রয়কেন্দ্র করা হবে।

২০১৫ সালে বজ্রপাতকে দুর্যোগের তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বজ্রপাত নিয়ে আমরা ৪৭৬ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। তিনটি পর্যায় রয়েছে এ প্রকল্পের। মানুষকে সচেতন করার জন্য কাজকর্ম করবো।

তিনি বলেন, আধুনিক বিশ্বে বজ্রপাতের ক্ষেত্রেও সাইক্লোনের মতো আগাম সতর্কবার্তা দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। কতগুলো মেশিন তৈরি করা হয়েছে যেগুলো ৪০ মিনিট আগেই শনাক্ত করতে পারে বজ্রপাত হবে এবং কোথায় হবে সেটা বলতে পারে। তাই বজ্রপাতের ক্ষেত্রে আর্লি ওয়ার্নিং দেওয়ার মেশিনগুলো আমরা বসাবো।

‘প্রাথমিকভাবে বজ্রপাত প্রবণ যে অঞ্চলগুলো আছে সেখানে বিশেষ করে হাওর-বাওড় এলাকায় গুরুত্ব আমরা বেশি দিয়েছি। এই সিগন্যালটা যাতে একটি অ্যাপের মাধ্যমে স্থানীয় মানুষের মোবাইলে ম্যাসেজ আকারে যেতে পারে, সেই কাজও আমরা শুরু করবো।’

প্রকল্পের কাজ শুরুর বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রকল্প প্রণয়ন হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এটার সম্ভাব্যতা যাচাই করছে, সেই রিপোর্ট আসলে আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠাবো। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মৌখিকভাবে আলোচনা হয়েছে। তিনি সামারি পাঠাতে বলেছেন, তিনি অনুমোদন দিলে আমরা কাজ শুরু করবো।

২০১১ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২৮০০ জন মানুষ বজ্রপাতে মারা গেছে। নিহতদের নাম ঠিকানাসহ তালিকা মন্ত্রণালয়ের কাছে রয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

চলতি বছর বজ্রপাতে ৩২৯ মৃত্যু

আপডেট : ১২:২৭:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অক্টোবর ২০২১
চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত দেশে বজ্রপাতে অন্তত ৩২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে। সবগুলো মৃত্যুই হয়েছে খোলা স্থানে। সরকার তাই বজ্রপাত আশ্রয়কেন্দ্র করার পরিকল্পনা করছে।

দুর্যোগ ববস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান এসব তথ্য জানিয়েছেন।

আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস ও ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির ৫ বছর পদার্পণ উদযাপন উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।

এ প্রকল্পের আওতায় বজ্রপাতের ৪০ মিনিট আগে সতর্কবার্তা দেওয়ার যন্ত্র কিনবে সরকার। একই সঙ্গে বজ্রপাত থেকে বাঁচতে আশ্রয়কেন্দ্র করা হবে।

২০১৫ সালে বজ্রপাতকে দুর্যোগের তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বজ্রপাত নিয়ে আমরা ৪৭৬ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। তিনটি পর্যায় রয়েছে এ প্রকল্পের। মানুষকে সচেতন করার জন্য কাজকর্ম করবো।

তিনি বলেন, আধুনিক বিশ্বে বজ্রপাতের ক্ষেত্রেও সাইক্লোনের মতো আগাম সতর্কবার্তা দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। কতগুলো মেশিন তৈরি করা হয়েছে যেগুলো ৪০ মিনিট আগেই শনাক্ত করতে পারে বজ্রপাত হবে এবং কোথায় হবে সেটা বলতে পারে। তাই বজ্রপাতের ক্ষেত্রে আর্লি ওয়ার্নিং দেওয়ার মেশিনগুলো আমরা বসাবো।

‘প্রাথমিকভাবে বজ্রপাত প্রবণ যে অঞ্চলগুলো আছে সেখানে বিশেষ করে হাওর-বাওড় এলাকায় গুরুত্ব আমরা বেশি দিয়েছি। এই সিগন্যালটা যাতে একটি অ্যাপের মাধ্যমে স্থানীয় মানুষের মোবাইলে ম্যাসেজ আকারে যেতে পারে, সেই কাজও আমরা শুরু করবো।’

প্রকল্পের কাজ শুরুর বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রকল্প প্রণয়ন হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এটার সম্ভাব্যতা যাচাই করছে, সেই রিপোর্ট আসলে আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠাবো। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মৌখিকভাবে আলোচনা হয়েছে। তিনি সামারি পাঠাতে বলেছেন, তিনি অনুমোদন দিলে আমরা কাজ শুরু করবো।

২০১১ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২৮০০ জন মানুষ বজ্রপাতে মারা গেছে। নিহতদের নাম ঠিকানাসহ তালিকা মন্ত্রণালয়ের কাছে রয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী।