ঢাকা ০৯:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১২ শিক্ষার্থীর জন্য ২০ শিক্ষক-কর্মচারী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০৯:৩৯:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ অক্টোবর ২০২১
  • / 229
রংপুরের পীরগঞ্জে ছাতুয়া দ্বিমুখী দাখিল মাদ্রাসায় ১২ জন শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছে ২০ জন শিক্ষক-কর্মচারী। জানাযায় গত ৩৫ বছর ধরে এভাবেই চলছে মাদ্রাসাটি।

রংপুরের পীরগঞ্জে ৬ কক্ষের দোচালা টিনশেড ছাতুয়া মাদ্রাসা। পুরো মাদ্রাসা ঘুরে পাওয়া গেল মাত্র ১২ শিক্ষার্থীকে। শিক্ষকদের কেউ জানাতে পারেননি মাদ্রাসার প্রকৃত শিক্ষার্থীর সংখ্যা। একজন শিক্ষক ২০০ শিক্ষার্থীর দাবি করলেও কাগজপত্রে আরও বেশি দেখানোর কথা জানালেন তিনি।

নিজে নিয়োগ কমিটির সচিব হয়ে স্ত্রীকে কম্পিউটার শিক্ষিক পদে নিয়োগের অভিযোগ আছে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। তবে সরকারের দেয়া ৩টি কম্পিউটার খুঁজে পাওয়া যায়নি।

অন্যের জমি জোরদখল, শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানি, গোপনে কমিটি গঠন, বিভিন্ন পদে নিয়োগের কথা বলে টাকা নিয়ে আত্মসাৎ আর নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রহসনের অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

অধ্যক্ষ একেএম শহীদুল ইসলামকে মাদ্রাসায় পাওয়া না গেলেও উপজেলা সদরে একটি রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে তার দেখা মেলে। তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে দাবি করেন সবই মিথ্যা।

মাঠ পর্যায়ে মাদ্রাসা বোর্ডের কার্যক্রম না থাকায় জেলা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তর কিছু বিষয় দেখভাল করলেও এ মাদ্রাসা সম্পর্কে কোনো তথ্য নেই।

আর জেলা প্রশাসক আসিব আহসান বললেন, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবেন।

১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসাটিতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষার মান না বাড়লেও অধ্যক্ষ হিসাবে যোগ দেয়ার পর বছর বছর শিক্ষক ও কর্মচারী ঠিকই বাড়িয়ে চলেছেন অধ্যক্ষ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

১২ শিক্ষার্থীর জন্য ২০ শিক্ষক-কর্মচারী

আপডেট : ০৯:৩৯:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ অক্টোবর ২০২১
রংপুরের পীরগঞ্জে ছাতুয়া দ্বিমুখী দাখিল মাদ্রাসায় ১২ জন শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছে ২০ জন শিক্ষক-কর্মচারী। জানাযায় গত ৩৫ বছর ধরে এভাবেই চলছে মাদ্রাসাটি।

রংপুরের পীরগঞ্জে ৬ কক্ষের দোচালা টিনশেড ছাতুয়া মাদ্রাসা। পুরো মাদ্রাসা ঘুরে পাওয়া গেল মাত্র ১২ শিক্ষার্থীকে। শিক্ষকদের কেউ জানাতে পারেননি মাদ্রাসার প্রকৃত শিক্ষার্থীর সংখ্যা। একজন শিক্ষক ২০০ শিক্ষার্থীর দাবি করলেও কাগজপত্রে আরও বেশি দেখানোর কথা জানালেন তিনি।

নিজে নিয়োগ কমিটির সচিব হয়ে স্ত্রীকে কম্পিউটার শিক্ষিক পদে নিয়োগের অভিযোগ আছে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। তবে সরকারের দেয়া ৩টি কম্পিউটার খুঁজে পাওয়া যায়নি।

অন্যের জমি জোরদখল, শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানি, গোপনে কমিটি গঠন, বিভিন্ন পদে নিয়োগের কথা বলে টাকা নিয়ে আত্মসাৎ আর নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রহসনের অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

অধ্যক্ষ একেএম শহীদুল ইসলামকে মাদ্রাসায় পাওয়া না গেলেও উপজেলা সদরে একটি রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে তার দেখা মেলে। তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে দাবি করেন সবই মিথ্যা।

মাঠ পর্যায়ে মাদ্রাসা বোর্ডের কার্যক্রম না থাকায় জেলা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তর কিছু বিষয় দেখভাল করলেও এ মাদ্রাসা সম্পর্কে কোনো তথ্য নেই।

আর জেলা প্রশাসক আসিব আহসান বললেন, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবেন।

১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসাটিতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষার মান না বাড়লেও অধ্যক্ষ হিসাবে যোগ দেয়ার পর বছর বছর শিক্ষক ও কর্মচারী ঠিকই বাড়িয়ে চলেছেন অধ্যক্ষ।