ঢাকা ০৯:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাঁচ হাজার শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : ০৫:৪৬:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ জুলাই ২০২৩
  • / 73
সারাদেশের প্রায় ৫ হাজার শিক্ষককে স্নাতক পর্যায়ের সকল বিভাগের জন্য ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইসিটি) কোর্স বাধ্যতামূলক করবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষক প্রশিক্ষণে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার প্ল্যান বিষয়ে একটি অনলাইন গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান।

ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েকটি কর্মমূখী শর্টকোর্স চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কর্মমূখী শর্ট কোর্সগুলোর মেয়াদ হবে একবছর। ইতোমধ্যে ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইসিটি), ডিজিটাল মার্কেটিং ও এন্টারপ্রেনারশীপসহ ৬টি কোর্সে প্রথম ব্যাচ ভর্তি নিয়ে কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।

কর্মমূখী শিক্ষাকে আমাদের আরও গুরুত্ব দিতে হবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্ত কলেজসমূহে স্নাতক শ্রেণির প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইসিটি) পড়ানো হবে। স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাসের ন্যায় প্রত্যেককে আইসিটি পড়তে হবে।

তিনি বলেন, আমরা নতুন ব্যাচ থেকেই এটিকে পাঠ্য করতে চেয়েছিলাম। কিন্ত এর জন্য আমাদের পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকায় এই বছর প্রথম বর্ষে আইসিটি পড়ানো হয়নি। প্রত্যেক কলেজ থেকে এটি পড়ানোর জন্য শিক্ষক প্রশিক্ষণ দিয়ে চলমান প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় বর্ষে এই কোর্স পড়াবো। পরবর্তী সেশন থেকে প্রথম বর্ষেই আইসিটি পড়ানো হবে বলে জানান উপাচার্য।

শিক্ষক প্রশিক্ষণে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার প্ল্যানের কথা উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, আমরা নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দিয়ে ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি কোর্সটি পড়ানোর জন্য তৈরি করব। আমাদের ২ হাজার ২৫৭টি কলেজ রয়েছে, প্রত্যেক কলেজ থেকে দুইজনকে এই প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। আমরা কলেজ এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টে ১২০টি কলেজে ল্যাব করে দিয়েছি। সেসব কলেজসহ মোট ২০০ প্রতিষ্ঠানে একত্রে সকল শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেয়ার পরিকল্পনা আছে।

মশিউর রহমান বলেন, আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েটসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পড়ুয়া এবং কলেজ সমূহ থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিক্ষকদের মধ্য থেকে মাস্টার ট্রেইনার সংগ্রহ করে তাদেরকে আমাদের মডেল বোঝাব। তারপর তাদেরকে দিয়ে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে আমরা ক্লাসে প্রেরণের জন্য তৈরি করব। নতুন করে আইসিটি শিক্ষক নিয়োগ দিতে গেলে জনবল নিয়োগের জন্য পদ তৈরি করতে হয়। এছাড়া এইসব প্রসেস করতে অনেক সময় লোগে যায়। এজন্য আমরা আমাদের শিক্ষকদেরকেই প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করার কথা ভেবেছি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের এবারের বাজেটে ট্রেনিংয়ের জন্য টাকা রাখা হয়েছে। আমাদের কলেজ শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্পে (সিইডিপি) শিক্ষা প্রশিক্ষণের জন্য একটি ফান্ড রয়েছে। ওই প্রকল্পের আওতায় আমরা আইসিটি ট্রেনিং শেষ করে ফেলবো। আরডিপিপি আসতে কিছুটা সময় লাগতে পারে। সেক্ষেত্রে আমাদের হিসেব মতে ১২/১৩ কোটি টাকার মত লাগবে। আমাদের এক্সিকিউটিভের সঙ্গে আমার দ্রুত এই ট্রেনিং শুরু করব। আগামী ৩ মাসের মধ্যে এই প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়ে যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

পাঁচ হাজার শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

আপডেট : ০৫:৪৬:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ জুলাই ২০২৩
সারাদেশের প্রায় ৫ হাজার শিক্ষককে স্নাতক পর্যায়ের সকল বিভাগের জন্য ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইসিটি) কোর্স বাধ্যতামূলক করবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষক প্রশিক্ষণে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার প্ল্যান বিষয়ে একটি অনলাইন গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান।

ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েকটি কর্মমূখী শর্টকোর্স চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কর্মমূখী শর্ট কোর্সগুলোর মেয়াদ হবে একবছর। ইতোমধ্যে ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইসিটি), ডিজিটাল মার্কেটিং ও এন্টারপ্রেনারশীপসহ ৬টি কোর্সে প্রথম ব্যাচ ভর্তি নিয়ে কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।

কর্মমূখী শিক্ষাকে আমাদের আরও গুরুত্ব দিতে হবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্ত কলেজসমূহে স্নাতক শ্রেণির প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইসিটি) পড়ানো হবে। স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাসের ন্যায় প্রত্যেককে আইসিটি পড়তে হবে।

তিনি বলেন, আমরা নতুন ব্যাচ থেকেই এটিকে পাঠ্য করতে চেয়েছিলাম। কিন্ত এর জন্য আমাদের পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকায় এই বছর প্রথম বর্ষে আইসিটি পড়ানো হয়নি। প্রত্যেক কলেজ থেকে এটি পড়ানোর জন্য শিক্ষক প্রশিক্ষণ দিয়ে চলমান প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় বর্ষে এই কোর্স পড়াবো। পরবর্তী সেশন থেকে প্রথম বর্ষেই আইসিটি পড়ানো হবে বলে জানান উপাচার্য।

শিক্ষক প্রশিক্ষণে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার প্ল্যানের কথা উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, আমরা নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দিয়ে ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি কোর্সটি পড়ানোর জন্য তৈরি করব। আমাদের ২ হাজার ২৫৭টি কলেজ রয়েছে, প্রত্যেক কলেজ থেকে দুইজনকে এই প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। আমরা কলেজ এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টে ১২০টি কলেজে ল্যাব করে দিয়েছি। সেসব কলেজসহ মোট ২০০ প্রতিষ্ঠানে একত্রে সকল শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেয়ার পরিকল্পনা আছে।

মশিউর রহমান বলেন, আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েটসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পড়ুয়া এবং কলেজ সমূহ থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিক্ষকদের মধ্য থেকে মাস্টার ট্রেইনার সংগ্রহ করে তাদেরকে আমাদের মডেল বোঝাব। তারপর তাদেরকে দিয়ে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে আমরা ক্লাসে প্রেরণের জন্য তৈরি করব। নতুন করে আইসিটি শিক্ষক নিয়োগ দিতে গেলে জনবল নিয়োগের জন্য পদ তৈরি করতে হয়। এছাড়া এইসব প্রসেস করতে অনেক সময় লোগে যায়। এজন্য আমরা আমাদের শিক্ষকদেরকেই প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করার কথা ভেবেছি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের এবারের বাজেটে ট্রেনিংয়ের জন্য টাকা রাখা হয়েছে। আমাদের কলেজ শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্পে (সিইডিপি) শিক্ষা প্রশিক্ষণের জন্য একটি ফান্ড রয়েছে। ওই প্রকল্পের আওতায় আমরা আইসিটি ট্রেনিং শেষ করে ফেলবো। আরডিপিপি আসতে কিছুটা সময় লাগতে পারে। সেক্ষেত্রে আমাদের হিসেব মতে ১২/১৩ কোটি টাকার মত লাগবে। আমাদের এক্সিকিউটিভের সঙ্গে আমার দ্রুত এই ট্রেনিং শুরু করব। আগামী ৩ মাসের মধ্যে এই প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়ে যাবে।