ঢাকা ০৯:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তেল পাচার ঠেকাতে বেড়েছে বিজিবি’র নজরদারি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০১:০৯:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ নভেম্বর ২০২১
  • / 210
বাংলাদেশে ডিজেলের দাম কম হওয়ায় ভারতের পণ্যবাহী ট্রাকে করে তেল পাচার হয়ে যাওয়ার অভিযোগে বেনাপোল বন্দরে নজরদারি বাড়িয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা।

এরই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) রাতে বেনপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানি গেটে তদারকি করতে দেখা গেছে বিজিবি সদস্যদের।

যশোর ৪৯বিজিবি ব্যাটালিয়নের বেনাপোল আইসিপি ক্যাম্পের সুবেদার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘ভারতে জ্বালানি তেল পাচার রোধে নজরদারি বাড়ানোর জন্য হেডকোয়ার্টার্স থেকে আমাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যার ফলে ১০ ধরে আমদানিকৃত পণ্য নিয়ে আসা ভারতীয় ট্রাকগুলোর জ্বালানি তেল স্কেল দিয়ে পরিমাপ করে নোট রাখা হচ্ছে। মালামাল খালাসের পর ট্রাকগুলো ভারতে ফিরে যাওয়ার সময় আবারও স্কেল দিয়ে পরিমাপ করা হচ্ছে। আর পূর্বে নোট করে রাখা তেলের পরিমাণ মিলিয়ে ট্রাকগুলো ছাড়া হচ্ছে। ‘

বিজিবির পাশাপাশি বন্দরের নিরাপত্তা কর্মীদেরও এ বিষয়ে সতর্ক রাখা হয়েছে বলে জানান বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার।

দেশের বাজারে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়ানোর কারণ হিসেবে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশে তেল পাচার হওয়ার কথাও বলছেন সরকারের মন্ত্রীরা।

বাংলাদেশে ডিজেলের দাম যখন ৬৫ টাকা ছিল, তখন ভারতে প্রতি লিটার ডিজেল বিক্রি হয়েছে ১০২ রুপি। ৩ নভেম্বর বাংলাদেশে ডিজেলের দাম বাড়িয়ে ৮০টাকা করা হয়েছে। একই সময় ভারতও শুল্ক কমিয়ে ডিজেলের দাম নামিয়ে আনে ৯০ রুপিতে।

তেল পাচারকারি ট্রাকের ব্যাপারে জানতে চাইলে বিজিবির হাবিলদার আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ‘এখন পর্যন্ত এমন কিছু পাইনি। আমরা আসা ও যাওয়ার পথে প্রতিটি ট্রাকের তেলের পরিমাণ মিলিয়ে দেখছি। তাতে দুই-পাঁচ লিটার তেল কমই পাচ্ছি।’

এ নিয়ে জিজ্ঞেস করলে শহিদুল্লাহ মণ্ডল নামের ভারতীয় এক ট্রাক চালক বলেন, ‘ট্যাংকে যে তেল নিয়ে আসি, তাতেই হয়ে যায়। তবে কোনো কারণে যদি কম পড়ে যায়, তাহলে কারো মাধ্যমে ১০/২০ লিটারের মত তেল সংগ্রহ করি। আর যদি না পারি, তাহলে বিএসএফকে বলে ওপার থেকে তেল নিয়ে আসি।’

জ্বালানি তেল পাচারের বিষয়ে জ্বালানি বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তেলের দাম বাড়ার আগে ভারত এবং বাংলাদেশে ডিজেল বিক্রির দামে মধ্যে পার্থক্য ছিল ৫৯ টাকা। অর্থাৎ যদি এক লিটার ডিজেল ভারতে পাচার করতে পারে, তাহলে চোরাকারবারিদের ৫০ টাকার মতো লাভ থাকে। ভারতের সঙ্গে আমাদের বিস্তৃর্ণ এলাকার সীমান্ত রয়েছে এবং নানা রকম অবৈধ পণ্য এ পথে দিয়ে আসা-যাওয়া করে। ফলে তেলের ক্ষেত্রেও আমরা সতর্ক নজর রেখেছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

তেল পাচার ঠেকাতে বেড়েছে বিজিবি’র নজরদারি

আপডেট : ০১:০৯:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ নভেম্বর ২০২১
বাংলাদেশে ডিজেলের দাম কম হওয়ায় ভারতের পণ্যবাহী ট্রাকে করে তেল পাচার হয়ে যাওয়ার অভিযোগে বেনাপোল বন্দরে নজরদারি বাড়িয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা।

এরই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) রাতে বেনপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানি গেটে তদারকি করতে দেখা গেছে বিজিবি সদস্যদের।

যশোর ৪৯বিজিবি ব্যাটালিয়নের বেনাপোল আইসিপি ক্যাম্পের সুবেদার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘ভারতে জ্বালানি তেল পাচার রোধে নজরদারি বাড়ানোর জন্য হেডকোয়ার্টার্স থেকে আমাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যার ফলে ১০ ধরে আমদানিকৃত পণ্য নিয়ে আসা ভারতীয় ট্রাকগুলোর জ্বালানি তেল স্কেল দিয়ে পরিমাপ করে নোট রাখা হচ্ছে। মালামাল খালাসের পর ট্রাকগুলো ভারতে ফিরে যাওয়ার সময় আবারও স্কেল দিয়ে পরিমাপ করা হচ্ছে। আর পূর্বে নোট করে রাখা তেলের পরিমাণ মিলিয়ে ট্রাকগুলো ছাড়া হচ্ছে। ‘

বিজিবির পাশাপাশি বন্দরের নিরাপত্তা কর্মীদেরও এ বিষয়ে সতর্ক রাখা হয়েছে বলে জানান বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার।

দেশের বাজারে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়ানোর কারণ হিসেবে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশে তেল পাচার হওয়ার কথাও বলছেন সরকারের মন্ত্রীরা।

বাংলাদেশে ডিজেলের দাম যখন ৬৫ টাকা ছিল, তখন ভারতে প্রতি লিটার ডিজেল বিক্রি হয়েছে ১০২ রুপি। ৩ নভেম্বর বাংলাদেশে ডিজেলের দাম বাড়িয়ে ৮০টাকা করা হয়েছে। একই সময় ভারতও শুল্ক কমিয়ে ডিজেলের দাম নামিয়ে আনে ৯০ রুপিতে।

তেল পাচারকারি ট্রাকের ব্যাপারে জানতে চাইলে বিজিবির হাবিলদার আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ‘এখন পর্যন্ত এমন কিছু পাইনি। আমরা আসা ও যাওয়ার পথে প্রতিটি ট্রাকের তেলের পরিমাণ মিলিয়ে দেখছি। তাতে দুই-পাঁচ লিটার তেল কমই পাচ্ছি।’

এ নিয়ে জিজ্ঞেস করলে শহিদুল্লাহ মণ্ডল নামের ভারতীয় এক ট্রাক চালক বলেন, ‘ট্যাংকে যে তেল নিয়ে আসি, তাতেই হয়ে যায়। তবে কোনো কারণে যদি কম পড়ে যায়, তাহলে কারো মাধ্যমে ১০/২০ লিটারের মত তেল সংগ্রহ করি। আর যদি না পারি, তাহলে বিএসএফকে বলে ওপার থেকে তেল নিয়ে আসি।’

জ্বালানি তেল পাচারের বিষয়ে জ্বালানি বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তেলের দাম বাড়ার আগে ভারত এবং বাংলাদেশে ডিজেল বিক্রির দামে মধ্যে পার্থক্য ছিল ৫৯ টাকা। অর্থাৎ যদি এক লিটার ডিজেল ভারতে পাচার করতে পারে, তাহলে চোরাকারবারিদের ৫০ টাকার মতো লাভ থাকে। ভারতের সঙ্গে আমাদের বিস্তৃর্ণ এলাকার সীমান্ত রয়েছে এবং নানা রকম অবৈধ পণ্য এ পথে দিয়ে আসা-যাওয়া করে। ফলে তেলের ক্ষেত্রেও আমরা সতর্ক নজর রেখেছি।