ঢাকা ০৬:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অবশেষে পুলিশে নিয়োগ পেলেন আসপিয়া

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০২:২৪:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২১
  • / 168
বহু সংগ্রামের পর অবশেষে পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কন্সট্যাবল (টিআরসি) পদে চাকরি পেয়েই পেলেন বরিশালের আসপিয়া ইসলাম। গতকাল নিজের চাকরির নিয়োগপত্র হাতে পান ভূমিহীন এই কলেজ ছাত্রী।

নিয়োগপত্র হাতে পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই আনন্দিত আসপিয়া আর তার পরিবার। শনিবার রাতে বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মারুফ হোসেনের স্বাক্ষরিত নিয়োগপত্র আসপিয়ার কাছে পৌঁছে দেন হিজলা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মিজানুর রহমান। নিয়োগপত্রে আগামী ২৮ ডিসেম্বর সকাল ১০টার মধ্যে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সহ আসপিয়াকে জেলা পুলিশ লাইনসে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। সেখান থেকে রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে আনুষ্ঠানিকতা শেষে মহিলা টিআরসিদের ছয় মাসের প্রশিক্ষণের জন্য রংপুরে পাঠানো হবে।

সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আসপিয়া বলেন, শুধু চাকরিই নয়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আদেশে আমি ও আমার পরিবার থাকার আশ্রয়ও পাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর বরাদ্দ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যেই সেই ঘরের নির্মাণকাজও প্রায় শেষের দিকে।

পিতৃহীন আসপিয়া সম্প্রতি পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরির সকল পরীক্ষার উত্তীর্ণ হন। কিন্তু নিজেদের কোনো স্থায়ী জমি না থাকায় চাকরিটা হাতছাড়া হতে বসেছিলো প্রায়। জমি না থাকায় চাকরি হবে না, এটি জানার পরই ৮ ডিসেম্বর আসপিয়া ছুটে যান বরিশাল রেঞ্জ পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) এস এম আকতারুজ্জামানের কার্যালয়ে। চাকরি না হওয়ার কারণ জানতে চাইলে ডিআইজি জানান, পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগের বিধি অনুযায়ী, প্রার্থীকে অবশ্যই নিজ জেলার স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। কিন্তু বরিশালের হিজলায় তার কোনো নিজস্ব জমি নেই। তাই আইন অনুযায়ী তাকে নিয়োগ দেওয়ার সুযোগও নেই।

এরপরই এই খবর ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, গণমাধ্যমেও প্রচারিত হয় এই খবর। বিষয়টি জানার পর প্রধানমন্ত্রী নিজের কার্যালয় থেকে আসপিয়াকে জমিসহ ঘর এবং তার যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

অবশেষে পুলিশে নিয়োগ পেলেন আসপিয়া

আপডেট : ০২:২৪:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২১
বহু সংগ্রামের পর অবশেষে পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কন্সট্যাবল (টিআরসি) পদে চাকরি পেয়েই পেলেন বরিশালের আসপিয়া ইসলাম। গতকাল নিজের চাকরির নিয়োগপত্র হাতে পান ভূমিহীন এই কলেজ ছাত্রী।

নিয়োগপত্র হাতে পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই আনন্দিত আসপিয়া আর তার পরিবার। শনিবার রাতে বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মারুফ হোসেনের স্বাক্ষরিত নিয়োগপত্র আসপিয়ার কাছে পৌঁছে দেন হিজলা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মিজানুর রহমান। নিয়োগপত্রে আগামী ২৮ ডিসেম্বর সকাল ১০টার মধ্যে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সহ আসপিয়াকে জেলা পুলিশ লাইনসে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। সেখান থেকে রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে আনুষ্ঠানিকতা শেষে মহিলা টিআরসিদের ছয় মাসের প্রশিক্ষণের জন্য রংপুরে পাঠানো হবে।

সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আসপিয়া বলেন, শুধু চাকরিই নয়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আদেশে আমি ও আমার পরিবার থাকার আশ্রয়ও পাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর বরাদ্দ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যেই সেই ঘরের নির্মাণকাজও প্রায় শেষের দিকে।

পিতৃহীন আসপিয়া সম্প্রতি পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরির সকল পরীক্ষার উত্তীর্ণ হন। কিন্তু নিজেদের কোনো স্থায়ী জমি না থাকায় চাকরিটা হাতছাড়া হতে বসেছিলো প্রায়। জমি না থাকায় চাকরি হবে না, এটি জানার পরই ৮ ডিসেম্বর আসপিয়া ছুটে যান বরিশাল রেঞ্জ পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) এস এম আকতারুজ্জামানের কার্যালয়ে। চাকরি না হওয়ার কারণ জানতে চাইলে ডিআইজি জানান, পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগের বিধি অনুযায়ী, প্রার্থীকে অবশ্যই নিজ জেলার স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। কিন্তু বরিশালের হিজলায় তার কোনো নিজস্ব জমি নেই। তাই আইন অনুযায়ী তাকে নিয়োগ দেওয়ার সুযোগও নেই।

এরপরই এই খবর ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, গণমাধ্যমেও প্রচারিত হয় এই খবর। বিষয়টি জানার পর প্রধানমন্ত্রী নিজের কার্যালয় থেকে আসপিয়াকে জমিসহ ঘর এবং তার যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।