ঢাকা ০১:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নাচে-গানে বসন্ত বরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : ০৮:০১:৫২ অপরাহ্ন, সোমাবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / 207
প্রতি বছর ফেব্রুয়ারির এই সময়ে বাতাস বদলে যেতে থাকে। শুষ্ক-রুক্ষতা দেখা যায় গাছে, পাতায়, ঘাসে। এবার সময়টা ভিন্ন। শীত এবার একটু দীর্ঘ। তবে শীতের মৌনতা ভেঙে বাংলার প্রকৃতিতে নতুন রূপ নিয়ে এসেছে বসন্ত।

সোমবার বসন্তকে বরণ করে নিতে চলছে নানা আয়োজন। রাজধানীতে বসন্ত বরণের মূল আকর্ষণ ‘জাতীয় বসন্ত উদযাপন পরিষৎ’-এর আয়োজনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্ত মঞ্চে ‘এসো মিলি প্রাণেরই উৎসবে’ শ্লোগানকে ধারণ করে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে চলছে বসন্তবরণ অনুষ্ঠান। ‘বেঙ্গল পরম্পরা সংগীতালয়’-এর রাগ বসন্তের মাধ্যমে শুরু অনুষ্ঠানটি।

প্রতিবছর জাতীয় বসন্ত উদযাপন পরিষৎ-এর আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার বকুল তলা, রবীন্দ্র সরোবর, রমনাসহ বিভিন্ন জায়গায় বসন্তবরণ অনুষ্ঠান করা হলেও মহামারির কারণে এবার শুধু সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চেই কেন্দ্রীয়ভাবে উদযাপন হচ্ছে দিবসটি।

দিনটিকে ঘিরে বসন্তের সাজে সেজেছে সবাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির চত্বরে, টিএসসি সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশপথে বসেছে অস্থায়ী ফুলের দোকান।

উল্লেখ্য, ১৫৮৫ সালে সম্রাট আকবর বাংলা বর্ষপঞ্জি হিসেবে আকবরি সন বা ফসলি সনের প্রবর্তন করেন। তিনি প্রতি বছর ১৪টি উৎসব পালনের রীতিও প্রবর্তন করেন। এর মধ্যে অন্যতম বসন্ত উৎসব।

১৯০৭ সালে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোট ছেলে শমীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হাত ধরে শান্তিনিকেতনে যাত্রা শুরু করে বসন্ত উৎসব, যা ‘ঋতুরঙ্গ উৎসব’ নামেই পরিচিত।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

নাচে-গানে বসন্ত বরণ

আপডেট : ০৮:০১:৫২ অপরাহ্ন, সোমাবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২
প্রতি বছর ফেব্রুয়ারির এই সময়ে বাতাস বদলে যেতে থাকে। শুষ্ক-রুক্ষতা দেখা যায় গাছে, পাতায়, ঘাসে। এবার সময়টা ভিন্ন। শীত এবার একটু দীর্ঘ। তবে শীতের মৌনতা ভেঙে বাংলার প্রকৃতিতে নতুন রূপ নিয়ে এসেছে বসন্ত।

সোমবার বসন্তকে বরণ করে নিতে চলছে নানা আয়োজন। রাজধানীতে বসন্ত বরণের মূল আকর্ষণ ‘জাতীয় বসন্ত উদযাপন পরিষৎ’-এর আয়োজনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্ত মঞ্চে ‘এসো মিলি প্রাণেরই উৎসবে’ শ্লোগানকে ধারণ করে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে চলছে বসন্তবরণ অনুষ্ঠান। ‘বেঙ্গল পরম্পরা সংগীতালয়’-এর রাগ বসন্তের মাধ্যমে শুরু অনুষ্ঠানটি।

প্রতিবছর জাতীয় বসন্ত উদযাপন পরিষৎ-এর আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার বকুল তলা, রবীন্দ্র সরোবর, রমনাসহ বিভিন্ন জায়গায় বসন্তবরণ অনুষ্ঠান করা হলেও মহামারির কারণে এবার শুধু সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চেই কেন্দ্রীয়ভাবে উদযাপন হচ্ছে দিবসটি।

দিনটিকে ঘিরে বসন্তের সাজে সেজেছে সবাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির চত্বরে, টিএসসি সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশপথে বসেছে অস্থায়ী ফুলের দোকান।

উল্লেখ্য, ১৫৮৫ সালে সম্রাট আকবর বাংলা বর্ষপঞ্জি হিসেবে আকবরি সন বা ফসলি সনের প্রবর্তন করেন। তিনি প্রতি বছর ১৪টি উৎসব পালনের রীতিও প্রবর্তন করেন। এর মধ্যে অন্যতম বসন্ত উৎসব।

১৯০৭ সালে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোট ছেলে শমীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হাত ধরে শান্তিনিকেতনে যাত্রা শুরু করে বসন্ত উৎসব, যা ‘ঋতুরঙ্গ উৎসব’ নামেই পরিচিত।