ঢাকা ০৭:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নওগাঁর রাণীনগরে চালে সংগ্রহের আশার মুখ দেখলেও মুখ থুবরে পড়েছে ধান সংগ্রহে!

কামাল উদ্দিন টগর,নওগাঁ
  • আপডেট : ০৬:৩১:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / 188

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় সরকারি ভাবে অভ্যন্তরীণ আমন মৌসুমের ধান—চাল সংগ্রহ অভিযানে চাল সংগ্রহে আশার মুখ দেখলেও মুখ থুবরে পড়েছে ধান সংগ্রহে। গত দুই মাসে সরকারি ভাবে ৯শ মেট্রিকটন সিদ্ধ চাল সংগ্রহ করা হলেও ধান সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ৪ মেট্রিকটন। ফলে চাল সংগ্রহের লক্ষমাত্রা অর্জিত হওয়ার আসা দেখলেও ধান সংগ্রহের লক্ষমাত্রা অর্জিত হওয়া নিয়ে সংঙ্কা দেখা দিয়েছে।

উপজেলা খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, রাণীনগর উপজেলায় সরকারি ভাবে অভ্যন্তরীণ আমন মৌসমে ২৭ টাকা কেজি দরে ৯৬৯ মেট্রিকটন ধান সরাসরি কৃষকের নিকট থেকে ক্রয় করার লক্ষে ও ৪০ টাকা কেজি দরে ১৩শ’ ৩৬ মেট্রিকটন সিদ্ধ চাল মিলারদের নিকট থেকে ক্রয় করার জন্য গত বছরের পহেলা ডিসেম্বর ধান—চাল সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধন করা হয়।

মিলারদের সাথে চুক্তি করায় চুক্তি অনুযায়ী উদ্বোধনের দিন থেকে এ পর্যন্ত গত দুই মাসে ৯শ’ মেট্রিকটন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। আর কৃষকদের নিকট থেকে ধান সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ৪ মেট্রিকটন। আগামী ২৮ ফেরুয়ারী পর্যন্ত ধান—চাল সংগ্রহ অভিযানের নির্ধারিত সময় রয়েছে।

সংশ্লিষ্ঠরা বলছেন, নির্ধারিত সময়ে মিলারদের নিকট থেকে চাল সংগ্রহের লক্ষমাত্রা অর্জিত হওয়ার আসা থাকলেও সরকার নির্ধারিত দামের চাইতে স্থানীয় বাজারে দেড় থেকে দ্ইু শ’ টাকা ধানের দাম বেশি পাওয়ায় সরকারি খাদ্যগুদামে ধান দিচ্ছেন না কৃষকরা। ফলে ধান সংগ্রহ অভিযান মুখ থুবরে পরেছে। এদিকে কৃষকরা বলছেন, সরকার ২৭ টাকা কেজি দরে ধানের দাম নির্ধারণ করেছে। কিন্তু সরকার নির্ধারিত দামের চাইতে স্থানীয় বাজারে মন প্রতি দেড়শ’ থেকে দুইশ’ টাকা ধানের দাম বেশি পাওয়া যাচ্ছে। তাই বাজারে ধানের দাম বেশি পাওয়া খোলা বাজারেই ধান বিক্রি করছেন।

ফলে সরকারি খাদ্যগুদামে ধান দিচ্ছিনা কৃষকরা। রাণীনগর উপজেলা ধান—চাল মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিতানাথ ঘোষ বলেন, সরকারের সাথে চুক্তি অনুযায়ী উপজেলার মিলাররা খাদ্যগুদামে চাল দিচ্ছেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সম্পন্ন চাল সরবরাহ করা হবে বলে আসা করছেন তিনি। রাণীনগর উপজেলা খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা হেলাল উদ্দীন বলেন, আশা করছি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্র অর্জিত হবে।

তবে বাজারে ধানের দাম পাওয়ায় গুদামে ধান দিচ্ছেন না কৃষকরা। রাণীনগর উপজেলা ধান—চাল ক্রয় কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই চাল সংগ্রহের লক্ষমাত্রা অর্জিত হবে। কিন্তু বাজারে ধানের দাম বেশি পাওয়ায় খাদ্যগুদামে ধান দিচ্ছেন না কৃষকরা।

এসব বিষয় উর্দ্ধতন কতৃর্পক্ষকে জানানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

নওগাঁর রাণীনগরে চালে সংগ্রহের আশার মুখ দেখলেও মুখ থুবরে পড়েছে ধান সংগ্রহে!

আপডেট : ০৬:৩১:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২২

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় সরকারি ভাবে অভ্যন্তরীণ আমন মৌসুমের ধান—চাল সংগ্রহ অভিযানে চাল সংগ্রহে আশার মুখ দেখলেও মুখ থুবরে পড়েছে ধান সংগ্রহে। গত দুই মাসে সরকারি ভাবে ৯শ মেট্রিকটন সিদ্ধ চাল সংগ্রহ করা হলেও ধান সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ৪ মেট্রিকটন। ফলে চাল সংগ্রহের লক্ষমাত্রা অর্জিত হওয়ার আসা দেখলেও ধান সংগ্রহের লক্ষমাত্রা অর্জিত হওয়া নিয়ে সংঙ্কা দেখা দিয়েছে।

উপজেলা খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, রাণীনগর উপজেলায় সরকারি ভাবে অভ্যন্তরীণ আমন মৌসমে ২৭ টাকা কেজি দরে ৯৬৯ মেট্রিকটন ধান সরাসরি কৃষকের নিকট থেকে ক্রয় করার লক্ষে ও ৪০ টাকা কেজি দরে ১৩শ’ ৩৬ মেট্রিকটন সিদ্ধ চাল মিলারদের নিকট থেকে ক্রয় করার জন্য গত বছরের পহেলা ডিসেম্বর ধান—চাল সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধন করা হয়।

মিলারদের সাথে চুক্তি করায় চুক্তি অনুযায়ী উদ্বোধনের দিন থেকে এ পর্যন্ত গত দুই মাসে ৯শ’ মেট্রিকটন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। আর কৃষকদের নিকট থেকে ধান সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ৪ মেট্রিকটন। আগামী ২৮ ফেরুয়ারী পর্যন্ত ধান—চাল সংগ্রহ অভিযানের নির্ধারিত সময় রয়েছে।

সংশ্লিষ্ঠরা বলছেন, নির্ধারিত সময়ে মিলারদের নিকট থেকে চাল সংগ্রহের লক্ষমাত্রা অর্জিত হওয়ার আসা থাকলেও সরকার নির্ধারিত দামের চাইতে স্থানীয় বাজারে দেড় থেকে দ্ইু শ’ টাকা ধানের দাম বেশি পাওয়ায় সরকারি খাদ্যগুদামে ধান দিচ্ছেন না কৃষকরা। ফলে ধান সংগ্রহ অভিযান মুখ থুবরে পরেছে। এদিকে কৃষকরা বলছেন, সরকার ২৭ টাকা কেজি দরে ধানের দাম নির্ধারণ করেছে। কিন্তু সরকার নির্ধারিত দামের চাইতে স্থানীয় বাজারে মন প্রতি দেড়শ’ থেকে দুইশ’ টাকা ধানের দাম বেশি পাওয়া যাচ্ছে। তাই বাজারে ধানের দাম বেশি পাওয়া খোলা বাজারেই ধান বিক্রি করছেন।

ফলে সরকারি খাদ্যগুদামে ধান দিচ্ছিনা কৃষকরা। রাণীনগর উপজেলা ধান—চাল মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিতানাথ ঘোষ বলেন, সরকারের সাথে চুক্তি অনুযায়ী উপজেলার মিলাররা খাদ্যগুদামে চাল দিচ্ছেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সম্পন্ন চাল সরবরাহ করা হবে বলে আসা করছেন তিনি। রাণীনগর উপজেলা খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা হেলাল উদ্দীন বলেন, আশা করছি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্র অর্জিত হবে।

তবে বাজারে ধানের দাম পাওয়ায় গুদামে ধান দিচ্ছেন না কৃষকরা। রাণীনগর উপজেলা ধান—চাল ক্রয় কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই চাল সংগ্রহের লক্ষমাত্রা অর্জিত হবে। কিন্তু বাজারে ধানের দাম বেশি পাওয়ায় খাদ্যগুদামে ধান দিচ্ছেন না কৃষকরা।

এসব বিষয় উর্দ্ধতন কতৃর্পক্ষকে জানানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।