ঢাকা ০৫:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাবি শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ: ছাত্র অধিকার পরিষদের মামুন কারাগারে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০১:৫০:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ নভেম্বর ২০২১
  • / 275
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সিদ্দিকীর এ আদেশ দেন।

এ মামলায় হাসান আল মামুন মঙ্গলবার আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামুনের পক্ষে জামিন শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জোবায়ের আহমদ। জামিনের বিরোধীতা করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মো. আলী আকবর। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।

কারাগারে যাওয়ার আগে হাসান আল মামুন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি নির্দোষ। আমাকে এই মামলায় পরিকল্পিতভাবে জড়ানো হয়েছে। বাদীর সঙ্গে মূলত কোতোয়ালি থানার মামলার আসামি নাজমুল হাসান সোহাগের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। আমি এ দেশের মানুষের কাছে এবং আদালতের কাছে মামলাটি পুনঃতদন্তের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রার্থনা করছি। এই মামলার মাস্টার মাইন্ড সোহাগ এবং বাদী।’

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্ট্যাডিজ বিভাগের এক শিক্ষার্থী লালবাগ থানায় বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে প্রধান আসামি করে ছয় জনের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন। এজাহারে ধর্ষণে সহযোগিতাকারী হিসেবে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের নামও উল্লেখ করা হয়।

একই অভিযোগে গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর কোতয়ালী থানায় ছয় জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলাটি করেন ওই শিক্ষার্থী। মামলায় ওই তরুণীকে অপহরণের পর পারস্পরিক সহযোগিতায় ধর্ষণ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হেয় প্রতিপন্ন করার অভিযোগ আনা

গত ১৭ জুন ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসলাম উদ্দিন মোল্লা হাসান আল মামুনকে একমাত্র আসামি করে চার্জশিট দাখিল করেন। অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়ার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ঢাবি শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ: ছাত্র অধিকার পরিষদের মামুন কারাগারে

আপডেট : ০১:৫০:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ নভেম্বর ২০২১
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সিদ্দিকীর এ আদেশ দেন।

এ মামলায় হাসান আল মামুন মঙ্গলবার আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামুনের পক্ষে জামিন শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জোবায়ের আহমদ। জামিনের বিরোধীতা করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মো. আলী আকবর। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।

কারাগারে যাওয়ার আগে হাসান আল মামুন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি নির্দোষ। আমাকে এই মামলায় পরিকল্পিতভাবে জড়ানো হয়েছে। বাদীর সঙ্গে মূলত কোতোয়ালি থানার মামলার আসামি নাজমুল হাসান সোহাগের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। আমি এ দেশের মানুষের কাছে এবং আদালতের কাছে মামলাটি পুনঃতদন্তের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রার্থনা করছি। এই মামলার মাস্টার মাইন্ড সোহাগ এবং বাদী।’

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্ট্যাডিজ বিভাগের এক শিক্ষার্থী লালবাগ থানায় বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে প্রধান আসামি করে ছয় জনের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন। এজাহারে ধর্ষণে সহযোগিতাকারী হিসেবে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের নামও উল্লেখ করা হয়।

একই অভিযোগে গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর কোতয়ালী থানায় ছয় জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলাটি করেন ওই শিক্ষার্থী। মামলায় ওই তরুণীকে অপহরণের পর পারস্পরিক সহযোগিতায় ধর্ষণ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হেয় প্রতিপন্ন করার অভিযোগ আনা

গত ১৭ জুন ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসলাম উদ্দিন মোল্লা হাসান আল মামুনকে একমাত্র আসামি করে চার্জশিট দাখিল করেন। অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়ার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।